নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: কাজী নজরুল ইসলাম’র প্রয়াণ
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
সোমবার (২৮ আগস্ট), ১৩ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ সফর ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: আত্মপরিচয়ের সন্ধানকারী জ্ঞানতাপস
ঘটনাবলী:
১১৮৯ - তৃতীয় ক্রুসেড শুরু হয়।
১৫১১ - পর্তুগিজরা মালাক্কা দখল করে।
১৬১৯ - দ্বিতীয় ফার্দিনান্দ রোমান সম্রাট হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৮৪৫ - সায়েন্টিফিক আমেরিকানের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
১৮৫০ - হনুলু শহরের মর্যাদা পায়।
১৮৮৩ - ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বত্র দাসপ্রথা বাতিল ঘোষিত হয়।
১৯১৬ - জার্মানি রোমানিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯১৯ - জেনারেল জন স্মাটস দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৭১ - মুক্তিফৌজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের একীভূত করে মুক্তিবাহিনী নামকরণের সিদ্ধান্ত।
১৯৯০ - ইরাক আনুষ্ঠানিকভাবে কুয়েতকে তার ১৯তম প্রদেশ ঘোষণা করে।
১৯৯৭ - ইসরাইল বেহেত্লহেম থেকে অবরোধ তুলে নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিনন্দন।
আরও পড়ুন: মাদার তেরেসা’র জন্ম
জন্মদিন:
১০২৫ - জাপান সম্রাট গো-রেইজেইয়ে।
১৫৯২ - বাকিংহামের প্রথম ডিউক জর্জ ভিলিয়ার্স।
১৭৪৯ - ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে, জার্মান কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, কূটনীতিবিদ ও প্রশাসনিক। (মৃ. ১৮৩২)
১৮২৮ - লিও তলস্তয়, রুশ লেখক। (মৃ.২০/১১/১৯১০)
লিও তলস্তোয় (২৮ আগস্ট ১৮২৮ - ২০ নভেম্বর ১৯১০) খ্যাতিমান রুশ লেখক ছিলেন। তাকে রুশ সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক, এমনকি বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
তার ২ টি অনবদ্য উপন্যাস হচ্ছে- যুদ্ধ ও শান্তি (রচনাকাল ১৮৬৩–১৮৬৯) এবং আন্না কারেনিনা (রচনাকাল ১৮৭৩–১৮৭৭)। তিনি ১৯০২-১৯০৬ পর্যন্ত প্রতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েছিলেন; ১৯০১, ১৯০২ এবং ১৯১০ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এবং তার পুরস্কার না পাবার বিষয়টি নোবেল পুরস্কার বিতর্কের একটি প্রধান কারণ ছিল।
আরও পড়ুন: মাইকেল ফ্যারাডে’র প্রয়াণ
তলস্তোয়ের জন্ম রুশ সাম্রাজের তুলা প্রদেশের ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নামক স্থানে। তিনি ছিলেন পরিবারের চতুর্থ সন্তান। শিশু বয়সে তার বাবা-মা মারা যান এবং আত্মীয়-স্বজনরাই তাকে বড় করেন। তিনি উপন্যাস ছাড়াও নাটক, ছোটগল্প এবং প্রবন্ধ রচনায় ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
১৯১০ সালের ২০ নভেম্বর রাশিয়ার আস্তাপভা নামক এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের রেলওয়ে স্টেশনে তলস্তোয় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: আইভি রহমান’র প্রয়াণ
মৃত্যুর পর তার ইচ্ছানুসারে ১৯২৮ ও ১৯৫৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তার সাহিত্যকর্ম ৯০ খণ্ডে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রকাশিত হয়, যার অর্ধেকাংশ তার দিনলিপি ও চিঠিপত্র।
তল্স্তোয়কে রাশিয়ান সাহিত্যের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নিজের রচনায় তলস্তয় দেখিয়েছেন প্রাক-বৈপ্লবিক রাশিয়ার জীবন, ফুটিয়ে তুলেছেন সেই সময়ের পরস্পরবিরোধী পরিস্থিতি, যাতে গড়ে উঠত রুশ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও স্তরের মানসতা।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস
তার রচনাগুলিতর মধ্যে যুদ্ধ ও শান্তি এবং আন্না কারেনিনা উল্লেখযোগ্য। তার কল্পকাহিনী লেখা বাস্তব জীবনকে নিয়ে লেখা।
যুদ্ধ ও শান্তি বইটি ১৮৬৫-১৮৬৭ সালে ধারাবাহিকভাবে ও ১৮৬৯ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু হচ্ছে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট-এর রুশ অভিযান। যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং শান্তির জন্য মানুষের সংগ্রামই এই উপন্যাসের মূল বক্তব্য।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু
আন্না কারেনিনা ১৮৭৮ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয। উপন্যাসটিতে তৎকালিন সময়ের বাস্তবিকতা এবং পারিবারিক জীবনের ব্যক্তিগত অবস্থার প্রকাশ পেয়েছে।
তার রচনার পরিমাণ বিশাল: ছোটগল্প, বড়গল্প, উপন্যাস, নাটক, শিশুসাহিত্য, প্রবন্ধ, ডায়েরি, চিঠিপত্র সব মিলিয়ে তার রচনা সমগ্র প্রায় ৯০ খণ্ডে বিভক্ত।
১৮৪৯ - ভন গেটে, জার্মানীর খ্যাতনামা লেখক ও কবি।
১৮৫৫ - স্বর্ণকুমারী দেবী, বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতকার ও সমাজ সংস্কারক। (মৃ.০৩/০৭/১৯৩২)
১৮৭৮ - জর্জ এইচ. উইপেল, মার্কিন চিকিৎসক এবং রোগতত্ত্ববিদ। (মৃ. ১৯৭৬)
১৮৯৯ - শার্ল বোয়ায়ে, ছিলেন একজন ফরাসি অভিনেতা। (মৃ. ১৯৭৮)
১৯০৪ - অতুল্য ঘোষ, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য।
১৯০৫ - দীনেশ গঙ্গোপাধ্যায়, বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক। (মৃ.১৩/০৭/১৯৮৪)
১৯০৫ - সিরিল ওয়াল্টার্স, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেট তারকা। (মৃ. ১৯৯২)
১৯০৮ - আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট বাঙালি আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ। (মৃ.২৮/০৮/১৯৯২)
১৯০৯ - বীরেন রায়, ভারতীয় বাঙালি বৈমানিক ও লেখক। (মৃ.১৯৯৬)
১৯১৩ - লিন্ডসে হ্যাসেট, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার।
১৯২০ - মানকুমার বসু ঠাকুর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নৌবিদ্রোহের শহীদ। (মৃ.১৯৪৩)
১৯২৮ - শেখ রাজ্জাক আলী, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার।
১৯৪৫ - লতিফুর রহমান, বাংলাদেশি শিল্পপতি, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান। (মৃ. ২০২০)
১৯৬১ - রিজভী মুফতি, শ্রীলঙ্কার প্রধান মুফতি।
১৯৬২ - ডেভিড ফিঞ্চার, মার্কিন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও মিউজিক ভিডিও পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৬৫ - শানিয়া টোয়েইন, কানাডীয় লোকসঙ্গীত ও পপ গায়িকা।
১৯৮২ - থিয়াগো মোত্তা, ব্রাজিলীয়-ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৯ - সেসার আজপিলিকুয়েতা, স্পেনীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস
মৃত্যুবার্ষিকী:
৪৩০ - আউরেলিয়ুস আউগুস্তিনুস, আলজেরিয়ান বিশপ, সম্ভবত স্বয়ং যীশুর কথিত শিষ্য সাধু পল'র পরেই খ্রিস্ট ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। (জ. ৩৫৪)
৬৩২ - ফাতিমা, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর কন্যা। (জ. ৬০৫)
৬৫৬ - হযরত সালমান ফারসী (র:)।
১৩৪১ - আর্মেনিয়ার রাজা পঞ্চম লিও।
১৪৮১ - পর্তুগালের পঞ্চম আফোনসো।
১৬৪৫ - হুগো গ্রোশিয়াস, ওলন্দাজ প্রজাতন্ত্রের একজন আইনজ্ঞ। (জ। ১৫৮৩)
১৯৫৯ - ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ বাঙালি শিল্পপতি সুধীরকুমার সেন। (জ.১৮৮৮)
১৯৭৩ - অমিয় বাগচী, বাঙালি কবি ও গীতিকার। (জ.০৭/০৫/১৯১৫)
১৯৭৮ - রবার্ট শ, ইংরেজ অভিনেতা, ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার। (জ. ১৯২৭)
১৯৮০ - শিবরাম চক্রবর্তী, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি রম্যলেখক। (জ.১৩/১২/১৯০৩)
১৯৮৭ - জন হিউস্টন, আইরিশ-মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা। (জ. ১৯০৬)
১৯৯০ - সুমিত্রা দেবী (অভিনেত্রী), বাংলা ও হিন্দী চলচ্চিত্রের কৃতী অভিনেত্রী। (জ. ২২/০৭/১৯২৩)
১৯৯২ - আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট বাঙালি আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ। (জ.২৮/০৮/১৯০৮)
২০০৬ - খ্যাতিমান বাঙালি ভাস্কর শঙ্খ চৌধুরী। (জ.১৯১৬)
২০১৬ - শহীদ কাদরী, বাংলাদেশী কবি ও লেখক। (জ. ১৯৪২)
সান নিউজ/এনজে