সান নিউজ ডেস্ক : আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আরও পড়ুন : মার্কিন অ্যাপোলো-১১ চাঁদে যাত্রা
আজ শনিবার (২৯ জুলাই), ১৪ শ্রাবণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ মুহররম ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী :
১৫৬৭ - রাজা ষষ্ঠ জেমস স্কটল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৫৮৮ - ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী এ্যাংলো-স্প্যানিশ যুদ্ধে ফ্রান্সের গ্রেভলাইনস সমুদ্র তীরে স্প্যানিশ আর্মাডাকে পরাজিত ও ধ্বংস করে।
১৮৫১ - অ্যানেবেল দ্য গ্যাসপ্যারিস ১৫ ইউনোমিয়া অ্যাস্টরয়েড আবিষ্কার করেন।
১৮৫৮ - যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে হ্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত।
১৮৭৬ - ডা মহেন্দ্রলাল সরকার উচ্চ শিক্ষার জাতীয় প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সাইন্স কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৯৯ - যুদ্ধ ও যুদ্ধপরাধ সংক্রান্ত প্রথম হেগ কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়।
১৯১১ - কলকাতার মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব ইষ্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্ট দলকে হারিয়ে প্রথম আইএফএ শীল্ড লাভ করে।
১৯২১ - এডলফ হিটলার জার্মানির জাতীয় সমাজতান্ত্রিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা নির্বাচিত হোন।
১৯৫৭ - আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন গঠিত হয়।
১৯৫৮ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথবা নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৭ - ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ইংলিশ চ্যানেলের নিচে সুরঙ্গপথ (ইউরোটানেল) নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
২০০৫ - জ্যোর্তিবিদরা সৌরজগতের অন্যতম বামন গ্রহ এরিস আবিষ্কার করেন।
২০১৮ - জাবালে নূর পরিবহনের দুইটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালে রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীর ওপর তুলে দেয়। এতে ৯ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে রমিজউদ্দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬) ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব (১৭) বাসের নীচে পিষ্ট হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন : আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ’র জন্ম
জন্মদিন :
৮৬৯ - মুহম্মদ আল-মাহদী, মুসলমানদের দ্বাদশী শিয়া ইমাম। (মৃ. ৯৪১)
১৮৪১ - অঁরি ফেয়ল, ফরাসি খনি প্রকৌশলী ও খনির পরিচালক। (মৃ. ১৯২৫)
১৮৪৩ - ইয়োহানেস শ্মিট, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। (মৃ. ১৯০১)
১৮৬৯ - বুথ টার্কিংটন, মার্কিন ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার। (মৃ. ১৯৪৬)
১৮৮৩ - বেনিতো মুসোলিনি, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কালে ইতালির সর্বাধিনায়ক। (মৃ.২৮/০৪/১৯৪৫)
১৮৮৮ - দীনেশরঞ্জন দাশ, বাঙালি লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক । (মৃ.১২/০৫/১৯৪১)
১৮৯২ - উইলিয়াম পাওয়েল, মার্কিন অভিনেতা। (মৃ.১৯৮৪)
১৯০৪ - জাহাঙ্গীর রতনজী দাদাভাই টাটা, ভারতীয় শিল্পপতি। (মৃ.২৯/১১/১৯৯৩)
১৯০৫ - দগ হামারহোল্ড, সুয়েডীয় কূটনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং লেখক। (মৃ. ১৯৬১)
১৯৩৫ - সৈয়দ হাসান ইমাম, বাংলাদেশী অভিনেতা, ও আবৃত্তিকার।
১৯৫১ - রেজাউল বারী ডিনা, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
১৯৫৩ - অনুপ জালোটা ভজন ও গজলের খ্যাতিমান ভারতীয় গায়ক।
১৯৫৯ - সঞ্জয় দত্ত, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।
আরও পড়ুন : আহমদ ছফা’র প্রয়াণ
মৃত্যুবার্ষিকী :
২৩৮ - বালবিনাস, রোমান সম্রাট। (জ. ১৬৫)
২৩৮ - পুপিয়েনাস, রোমান সম্রাট। (জ. ১৭৮)
১০৯৯ - পোপ দ্বিতীয় আরবান।
১১০৮ - ফরাসী রাজা প্রথম ফিলিপ।
১৮৯০ - ভিনসেন্ট ভ্যান গখ, ওলন্দাজ চিত্রকর। (জ. ১৮৫৩)
১৮৯১ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ঊনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। (জ.২৬/০৯/১৮২০)
১৯৬২ - রোনাল্ড ফিশার, বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ। (জ. ১৮৯০)
১৯৬৯ - আন্দলিব সাদানী, ফার্সি ও উর্দু ভাষার কবি, গল্পকার, গবেষক এবং সমালোচক। (জ. ১৯০৪)
১৯৮৩ - রেমন্ড ম্যাসি, কানাডীয়-মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। (জ. ১৮৯৬)
১৯৮৩ - লুইস বুনুয়েল, স্পেনীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও সুরিয়ালিস্ট আন্দোলনের নেতা। (জ. ১৯০০)
১৯৯৪ - ডরোথি মেরি হজকিন, ব্রিটিশ রসায়নবিদ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। (জ. ১৯১০)
১৯৯৬ - ভারতরত্ন অরুণা আসফ আলী ,ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও সমাজকর্মী। (জ.১৬/০৭/১৯০৯)
১৯৯৬ - মার্সেল পল শোয়োতজেনবার্গার, ফরাসী গণিতবিদ।
১৯৯৮ - জেরোম রবিন্স, মার্কিন পরিচালক, নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিচালক ও মঞ্চ প্রযোজক। (জ. ১৯১৮)
২০০৪ - প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় , বাঙালি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী।(জ.২১/১২/১৯৩৪)
২০১৮ - রমাপদ চৌধুরী , বাঙালি ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার।(জ.২৮/১২/১৯২২)
আরও পড়ুন : এপিজে আবদুল কালাম’র প্রয়াণ
দিবস :
আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস
প্রতি বছর ২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস বা বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়। ২০১০ সালে সেণ্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ব্যাঘ্র অভিবর্তনে এই দিবসের সূচনা হয়।
বাঘ দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এর সম্পর্কে থাকা ভুল ধারণা ও ভয় দূর করা। প্রতি বছর বিভিন্ন কার্যসূচীর মাধ্যমে এই দিবস পালন করা হয়।
বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হলেও বাঘ টিকে আছে বিশ্বে এমন ১৩টি দেশে বাঘের ঘনত্ব বেশি থাকায় এসব দেশে গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাঘ করি সংরক্ষণ, সমৃদ্ধ হবে সুন্দরবন’।
২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ নিজ নিজ দেশে বাঘের সংখ্যা ১২ বছরের মধ্যেদ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল। এরমধ্যে নেপাল বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। ভারত এবং ভুটানও দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও সে লক্ষ্য থেকে দূরে আছে।
সান নিউজ/জেএইচ