নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: করোনার আঘাত গোটা বিশ্বকে যখন স্থবির করে দিয়েছে, তখনো কৃষি মানব সভ্যতার নিয়ামক হয়েই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশে। কৃষি তথ্য সার্ভিস জানিয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের পিক আওয়ারেও বরিশাল বিভাগে পারিবারিক কৃষি অনেককে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মানুষকে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে।
করোনাকালেই বরিশাল বিভাগে পারিবারিক কৃষি বাগান থেকে ২৮ হাজার ৮০০ কেজি সবজি এসে সুখবর বয়ে এনেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক আফতার উদ্দিন এ হিসাব দিয়ে বলেন, ‘কৃষি হচ্ছে একমাত্র পেশা যা মানুষকে শতাব্দী পর শতাব্দী বাঁচিয়ে রেখেছে। কৃষির ওপর ভর করেই মানব সভ্যতা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। করোনাকালেও আহার জুগিয়েছে কৃষি। এই সময়ে আমরা মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেছি। সে কারণে বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি চাষ হয়েছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিভাগের ছয় জেলায় ৩৬৬ ইউনিয়নে পারিবারিক কৃষির আওতায় সবজি-পুষ্টি বাগানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ইউনিয়নগুলোয় ১১ হাজার ৫৮৪টি পারিবারিক কৃষি বাগান গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলার ৮৫টি ইউনিয়নে দুই হাজার ৭২০টি, পিরোজপুর জেলার ৫৪টি ইউনিয়নে এক হাজার ৭২৮টি, ঝালকাঠি জেলার ৩২টি ইউনিয়নে এক হাজার ২৪টি, পটুয়াখালী জেলার ৮৫টি ইউনিয়নে দুই হাজার ৫৯২টি, বরগুনা জেলার ৪৫টি ইউনিয়নে এক হাজার ৪৪০টি এবং ভোলা জেলার ৬৫টি ইউনিয়নে দুই হাজার ৮০টি বাগান রয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদিত হয়েছে ভোলা জেলায়। সেখানে এক মৌসুমে ২০ হাজার কেজি সবজি এখন পর্যন্ত সংগৃহীত হয়েছে। বরিশাল জেলা থেকে দুই হাজার ৫৪০ কেজি, পিরোজপুর জেলা থেকে দুই হাজার ৩৮০ কেজি, ঝালকাঠি জেলা থেকে দুই হাজার কেজি, পটুয়াখালী জেলা থেকে ৪৩০ কেজি ও বরগুনা জেলা থেকে এক হাজার ৪৫০ কেজি সবজি এসেছে।
কৃষি কর্মকর্তা আফতার উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কৃষি উপকূলীয় অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এর মাধ্যমে ভিটামিন ও সবজির চাহিদা পূরণ হয়। তেমনি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও আসে। মানুষ পারিবারিক কৃষিতে যতো বেশি আগ্রহী হবেন, ততোই সাংসারিক স্বচ্ছলতা ফিরবে।
সান নিউজ/ এআর