সান নিউজ ডেস্ক : আজ বিশ্ব বাবা দিবস। জুন মাসের তৃতীয় রোববার প্রতি বছর বিশ্বের ১১১ টি দেশে দিবসটি পালিত হয়। প্রতিটি পরিবারই নিজেদের মতো করে পালন করবে দিনটি। সম্মান জানাবে তাদের বাবাকে।
আরও পড়ুন : বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
রোববার (১৮ জুন) বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাতে সারা বিশ্বেই পালিত হবে এ দিনটি।
প্রতিটি মানুষের জীবনে তাদের মা-বাবাই সবচেয়ে আপন। সন্তানেরা তাদের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে। সাধারণত মায়ের সাথে সন্তানদের সম্পর্ক গভীর হয়।
উপমহাদেশে দেখা যায়, সন্তনাদের বাবার সাথে কিছুটা দূরত্ব থাকে। তাই বলে বাবার ভালোবাসা কম নয়। তার সারাটি জীবন ব্যয় করেন সন্তানদের পেছনে, পরিবারের পেছনে। সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হবে দিনটি।
আরও পড়ুন : রাজা জোসেফের অভিষেক
পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরের প্রথম রোববার বাবা দিবস পালন করে থাকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ।
১৯০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চার্চের মাধ্যমে বাবা দিবসের শুরু হয়েছিল।
অনেকে বলেন, প্রথম বাবা দিবস পালন করা হয় ওয়াশিংটনের ভ্যাংকুবারে।
আরও পড়ুন : পয়লা আষাঢ়
সাধারণ মত অনুযায়ী, বাবা দিবসের প্রবক্তা সোনার স্মার্ট ডোড। যখন তার বয়স ১৬, তখন তার মা ষষ্ঠ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। পরিবারে সোনারই ছিলেন একমাত্র কন্যা। পূর্ব ওয়াশিংটনের এক গ্রামের ফার্মে এরপর থেকে নবজাতকসহ ৫ টি সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ডোডের বাবা।
সোনার বড় হওয়ার পর অনুভব করলেন, ছয়টি সন্তান একা একা মানুষ করতে কী ভীষণ পরিশ্রমই না তার বাবাকে করতে হয়েছে। উইলিয়াম তার মেয়ের চোখে ছিলেন সাহসী, নিঃস্বার্থ একজন ভালো বাবা, যিনি সন্তানদের জন্য বিসর্জন দিয়েছিলেন নিজের সব সুখ-শখ, আহ্লাদ।
আরও পড়ুন : নবাবের কাশিম বাজার কুঠি দখল
সোনার স্মার্ট জন, ব্রোস ডোডকে বিয়ে করেন। সোনারের স্বামী তাদের সন্তান জ্যাক ডোড জন্মের কিছুকাল পরে মারা যান। এ অবস্থায় বাবা আর মেয়েতে মিলেই পুরো জীবন পার করে দেন।
১৯০৯ সালে বাবার প্রতি সম্মান জানাতে ‘বাবা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি সোনারের চিন্তায় আসে। ‘মা দিবস’-এর অনুষ্ঠানে সে বছর চার্চে যান সোনার ডোড।
অনুষ্ঠানে এসেই তার মনে হয়, মা দিবসের মতো বাবাদের জন্যও একটি দিবস করা প্রয়োজন, যেখানে মায়েদের মতো বাবাদেরও সম্মান জানানো হবে, প্রকাশ করা হবে ভালোবাসা।
আরও পড়ুন : বিশ্ব মরুময়তা ও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধ দিবস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পোকেন মন্ত্রিসভার কাছে তার পিতার জন্মদিন ৫ জুনকে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠান তিনি। তার প্রস্তাবের প্রশংসা করলেও ৫ জুনকে বাবা দিবস ঘোষণা করতে রাজি হয়নি মন্ত্রিসভা। তারা জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
দিনটিকে একটি স্থানীয় পত্রিকা ছুটি ঘোষণা করে এবং বিভিন্ন দোকানি বাবাদের জন্য নানা রকমের উপহারসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন : নীলিমা ইব্রাহিম’র প্রয়াণ
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী মজুমদারের গাওয়া একটি গান সন্তানদের মনে বাবার অভাব মনে করিয়ে দেয়, ‘কাটে না সময় যখন আর কিছুতে, বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না, জানালার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা, মনে হয় বাবার মতো কেউ বলে না,আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়...’। বাবা, যিনি আমাদের জীবনে বটবৃক্ষের বিশাল ছায়া হয়ে বিরাজ করেন।
সান নিউজ/এনজে