সান নিউজ ডেস্ক : আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে একসময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ৩০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। ২১ রমজান ১৪৪৪ হিজিরী।
একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন : দেশের মানুষই আমাকে আশ্রয় দিয়েছে
ঘটনাবলি
১৭৭২- ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গবর্নর নিযুক্ত হন।
১৮৫৫- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কৃত ‘বর্ণ পরিচয়’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯১৯- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে মিত্রশক্তি ও জার্মানির মধ্যে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬৪- ইয়ান স্মিথ দক্ষিণ রোডেশিয়ার নতুন সরকার গঠন করেন।
১৯৬৬- বিমান দূর্ঘটনায় ইরাকি কর্নেল, রাজনীতিবিদ ও ইরাক ২য় রাষ্ট্রপতি আবদুস সালাম আরিফ মারা যান ।
১৯৭৫- বৈরুতে মুসলামান ও খ্রিস্টানদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়।
১৯৯৭- আইসিসি ক্রিকেটে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়।
আরও পড়ুন : আমরা মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমিয়েছি
২০০৪- সুপারসনিক বিমান কনকর্ড শেষবারের মতো আকাশে ওড়ে।
জন্মবার্ষিকী
১৫৭০- গায় ফাওকেস, তিনি ছিলেন ইংরেজ সৈনিক ও বারূদ চক্রান্ত পরিকল্পনাকারী।
১৭৪৩- টমাস জেফারসন, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি।
১৯০৬- স্যামুয়েল বেকেট, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ ফরাসি লেখক, নাট্যকার ও পরিচালক।
১৯১৩- শেমাস্ হীনি, তিনি ছিলেন ১৯৯৫ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ লেখক।
১৯২২- জুলিয়াস নয়েরেরে, তিনি ছিলেন তাঞ্জানিয়া শিক্ষাব্রতী ও রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।
১৯৪০- জঁ-মারি গুস্তাভ ল্য ক্লেজিও, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি লেখক ও শিক্ষক।
১৯৪১- মাইকেল স্টুয়ার্ট ব্রাউন, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান জেনেটিসিস্ট।
১৯৫০- রন পেরলমান, তিনি আমেরিকান অভিনেতা ও প্রযোজক।
১৯৬০- রুডি ফোলার, তিনি সাবেক জার্মান ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।
১৯৬৩- গ্যারি কিমোভিচ কাসপারভ (জন্ম এপ্রিল ১৩, ১৯৬৩) একজন দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার ও প্রাক্তন বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন। জুলাই ১৯৯৯-এ অর্জিত তার ২৮৫১ ইলো রেটিং সর্বকালের অন্যতম সর্বোচ্চ রেটিং। ফিদের প্রকাশিত জানুয়ারি ২০০৬ তালিকা অনুযায়ী কাসপারভ ২৮১২ পয়েন্টের ইলো রেটিং নিয়ে বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু। ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কাসপারভ রেকর্ডসংখ্যক ২৩ বার এক নম্বর র্যাংকিং অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত অবিসংবাদিত বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ২০০০ সালে ভ্লাদিমির ক্রাম্নিকের কাছে পরাজয়ের আগ পর্যন্ত তিনি পিসিএ ও ডব্লিউসিএ-র 'ধ্রুপদী' বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তিনি এগারো বার দাবা অস্কার জয় করেন। ১ম ম্যাচ ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬: ফিলাডেলফিয়া, পেনিসিলভ্যানিয়ায় অনুষ্ঠিত ফলাফল: কাসপারভ–ডীপ ব্লু (৪–২) রেকর্ড: ১ম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কাছে প্রতিযোগিতার নিয়মানুসারে পরাজিত ২য় ম্যাচ (পুনরায়) ১১ মে, ১৯৯৭: নিউইয়র্ক সিটি, নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ফলাফল: ডীপ ব্লু-কাসপারভ (৩১/২–২১/২)রেকর্ড: ১ম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে প্রতিযোগিতার নিয়মানুসারে পরাভূত ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালে ফিলাডেলফিয়া, পেনসিলভানিয়ায় শুরু হওয়া যন্ত্র বনাম মানুষের মধ্যকার আনুষ্ঠানিক খেলা শুরু হয়। এর মাধ্যমেই ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো ঐ সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও শীর্ষস্থানীয় ইলো রেটিংধারী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। এতে সাদা ঘুঁটি ও সিসিলিয়ান ডিফেন্স (বি২২) ১ম খেলায়ই এটি নিয়মিতভাবে সময় নিয়ন্ত্রণ করে ডীপ ব্লু। ফলে গ্যারী কাসপারভ পরাভূত হন। পরবর্তীতে বাকী ৫টি খেলায় কাসপারভ নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে নেন। তিনি ৩টিতে জয়ী এবং বাকী ২টিতে ড্র করেন। সামগ্রীকভাবে ফলাফল ছিল কাসপারভ (৪) - ডীপ ব্লু (২)। (দাবায় জয়ী হলে ১ পয়েন্ট, ড্র ১/২ পয়েন্ট এবং পরাজিত ০ পয়েন্ট হিসেবে নিরূপণ করা হয়।) এর মাধ্যমে নিঃসন্দেহে তিনি যন্ত্রচালিত দাবা কম্পিউটার হিসেবে ডিপ ব্লু'র উপর মানুষের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালে প্রতিযোগিতাটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন : তাপপ্রবাহ থাকতে পারে ৬ দিন
১৯৮৮- অ্যান্ডারসন লুইজ দে অ্যাব্রু অলিভিয়েরা, তিনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।
মৃত্যুবার্ষিকী
১৬৯৫- জাঁ ডে লা ফন্টাইনে, তিনি ছিলেন ফরাসি লেখক ও কবি।
১৮৮২- ব্রুনো বাউয়ের, তিনি ছিলেন জার্মান ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক।
১৯৪৫- আর্নেস্ট কাসিরের, তিনি ছিলেন পোলিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ।
১৯৭৫- ফ্রাঙ্কইস টম্বাল্বায়ে, তিনি ছিলেন চাঁদের সৈনিক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও অ১ম রাষ্ট্রপতি।
১৯৯৩- ওয়ালেস স্টেগ্নার, তিনি ছিলেন আমেরিকান ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক।
২০১৫- এডুয়ার্ডো গালেয়ানো, তিনি ছিলেন উরুগুয়ের সাংবাদিক ও লেখক।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত
২০১৫- গুন্টার গ্রাস, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান ঔপন্যাসিক, কবি, নাট্যকার ও অঙ্কনশিল্পী।
সান নিউজ/এসআই