সান নিউজ ডেস্ক : ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোনও দিন নেই। তবু ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভালোবাসা প্রকাশের দিন হিসেবে পালন করা হয়। ভালোবাসা দিবস শুধুই প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই।
আরও পড়ুন : নীলুফার ইয়াসমিনের জন্ম
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাজধানীতে ভালোবাসার উৎসবে মুখর তারুণ্যের অনাবিল আনন্দ ও বিশুদ্ধ উচ্ছ্বাসে পালিত হবে দিবসটি। গ্রাম-বাংলার জনজীবনেও এ উৎসবের ছোঁয়া লাগবে। চলবে উপহার দেওয়া-নেওয়া।
এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, জড়াজড়ি করা খেলনা মার্জার অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : পর্যটকদের ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
ইতিহাস থেকে জানা যায়, এক খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ভ্যালেনটাইনস ডে করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করায় রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ফাদার ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। সেই থেকেই দিনটির শুরু।
ফাদার ভ্যালেন্টাইন মৃত্যুর আগে তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি চিঠিতে নাম সই করেছিলেন লেখেন ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন’। এর পরের বছর থেকে ভ্যালেনটাইনের মেয়েও তার প্রেমিক মিলে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন।
আরও পড়ুন : বসন্তের শাড়ি ও সাজ
ভালোবাসার গুরুত্ব বা তাৎপর্যকে তুলে ধরতেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের জন্ম। সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তরুণ-তরুণীরাই নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ।
সান নিউজ/এনজে/এইচএন