সান নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস আজ (৩ ডিসেম্বর)। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনাক্তে শীর্ষে জাপান
দিবসটি শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই পালিত হয়ে থাকে।
এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পরিবর্তনমুখী পদক্ষেপ: প্রবেশগম্য ও সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে উদ্ভাবনের ভূমিকা’।
প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন মার্কিন মন্ত্রী
প্রতিবন্ধী মানুষের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণ, সংশ্লিষ্ট সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বহুবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা ও দক্ষতাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হলে তাদের উপযুক্ত পরিচর্যা ও প্রশিক্ষিত করে তোলা একান্ত প্রয়াজন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের সম্মেলন
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ গুণের অধিকারী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সার্বিক সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। এজন্যই সরকার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এবং তাদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে অত্যন্ত আন্তরিক।’
এদিকে দিবসটি পালনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উন্নয়নের মূলধারায় প্রতিবন্ধীদের একীভূতকরণ এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদফতর, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: “আমি একজন সাধারণ প্রবাসী”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের সাথে জাতীয় উন্নয়নের যোগসূত্র আছে। প্রতিবন্ধীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হলে তারা জাতীয় উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতায় প্রভূত অবদান রাখতে পারবে।
সান নিউজ/এফই