সান নিউজ ডেস্ক : আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে একসময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করা হয়েছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’। আজ শনিবার (২৭ আগস্ট ) ১২ ভাদ্র , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। ২৮ মহররম, ১৪৪৪ হিজরী। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী
১২২৭ - মুসলমানদের প্রথম নৌ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৭৮১ - পাল্লিলোরে হায়দার আলী ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন।
১৭৮৯ - ফরাসী জাতীয় পরিষদে বিশ্বখ্যাত মানবাধিকার ঘোষণা।
১৮৮৯ - প্রথম বারের মত সেলুলয়েড রোল ফিল্ম প্রস্তুত করা হয়।
১৯২৮ - প্যারিসে ১৭টি দেশের যুদ্ধ পরিত্যাগ করার ঘোষণা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
১৯৪২ - ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেসের গোপন বেতার কেন্দ্র কংগ্রেস রেডিও প্রচার শুরু করে।
১৯৫৮ - সোভিয়েত ইউনিয়ন দুটি কুকুরসমেত স্পুটনিক-৩ উৎক্ষেপণ করে।
১৯৬৯ - ইসরায়েলের কমান্ডোরা মিসরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নীল উপত্যকায় মিসরীয় সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে মর্টার হামলা চালায়।
১৯৭১ - লন্ডনে বাংলাদেশ মিশন উদ্বোধন।
১৯৭৫ - বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ওমান।
১৯৮৮ - প্রবল বন্যায় বাংলাদেশে শতাধিক প্রাণহানি ঘটে।
আরও পড়ুন : ফের জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদি
১৯৯১ - সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত মোলদাভিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।
জন্মদিন:
১৭৭০- জার্মান দার্শনিক ভিলহেলম ফ্রেডরিখ হেগেল।
১৯০৮- ক্রিকেট জগতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড ব্রাডম্যান।
১৯২৬- নরওয়েজীয় গণিতবিদ, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা মুঘল ও রাজনীতিবিদ ক্রিস্টেন নিগার্ড।
১৯৭৪- পাকিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফ।
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৯৭৬- বিদ্রোহী কবি, সাহিত্যিক, সম্পাদক ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ২৪ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সংগীতকার। তার মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও প্রধান পরিচয় কবি। বাংলাদেশে তাকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায় বলে তাকে ‘বিদ্রোহী কবি’ নামেও ডাকা হয়। কবিতা লিখে তাকে যেতে হয়েছিল জেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে লড়েছেন শত্রুর বিরুদ্ধে। ১৯৪২ সালে তিনি স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হন। ফলে সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তিনি সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সাহিত্যের সর্বোচ্চ পুরস্কার জগত্তারিণী স্বর্ণপদক প্রদান করে। ১৯৬০ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণে ভূষিত করা হয়।
১৯৭৬- ভারতীয় সংগীত শিল্পী মুকেশ চন্দ মাথুর।
১৯৭৯- ব্রিটিশ নৌ বাহিনী অফিসার লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
আরও পড়ুন : কমনওয়েলথের দুই কমিটিতে বাংলাদেশ
১৯৯০- বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক তপোবিজয় ঘোষ।
২০০৬- হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি পরিচালক হৃষিকেশ মুখার্জী।
সান নিউজ/এসআই