সান নিউজ ডেস্ক : আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে একসময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে। পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী আর নেই
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) ৮ শ্রাবণ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। ২৩ জিলহজ, ১৪৪৩ হিজরি। ইতিহাসে চোখ বুলিয়ে দেখে নিন এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।
ঘটনাবলী
১৮৯৩- কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত হয়।
১৯৩৪- ব্রিটিশ সরকার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে বেআইনি ঘোষণা করে।
১৯৯২- জর্জিয়ার কাছ থেকে আবখাইজয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিষ্কার হয়। পরের বছরের শুরুতে সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়।
২০০৭- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত।
জন্ম বার্ষিকী
১৮৪৩- বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষ।
১৮৫৬- ভারতের জাতীয়তাব্দী নেতা, সমাজ সংস্কারক, আইনজীবী ও স্বাধীনতা কর্মী বাল গঙ্গাধর তিলক।
১৮৮৮- ব্রিটিশ-মার্কিন ঔপন্যাসিক এবং চিত্রনাট্যকার রেমন্ড চ্যান্ডলার।
১৮৯৮- বিংশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯২৫- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দীন আহমদ।গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে অধিক পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হবার পর আরও তিনজন জাতীয় নেতাসহ তাকে বন্দী করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বন্দী অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়।
মৃত্যু বার্ষিকী
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি
১৯৩৩- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত।
১৯৬৩- বাঙালি শিশুসাহিত্যিক,লেখক ও বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক অন্যতম ব্যক্তিত্ব নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়।
১৯৯৯- বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক এস এম আহমেদ হুমায়ুন।
২০১২- আজাদ হিন্দ ফৌজের রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের প্রধান ক্যাপ্টেন ডাক্তার লক্ষ্মী সেহগল।
২০২১- একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কালামৃধা গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে ১৯৬৬ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন। ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একজন শব্দ সৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদকে ভূষিত হন।
সাননিউজ/এসআই