আহমেদ রাজু
যোগসাধনার প্রচলন বৈদিক যুগে। পাঁচ থেকে দশ হাজার বছর আগে। প্রাচীন ভারতের উত্তরাঞ্চলে। তখন মুনি-ঋষিরা যোগসাধনা করতেন। নিজেদের আত্মাশুদ্ধি করতে। যোগসাধনার মাধ্যমে তারা দিব্যলাভ করতেন। এই দিব্যই অলৌকিক শক্তি।
সাধু-সন্যাসীরা এখনো যোগসাধনা করেন। এর মাধ্যমে তারা করেন কঠোর সাধনা। সাধুদের কঠিন কসরত দেখা মেলে কুম্ভমেলায়।
আরও পড়ুন : বিচিত্র জীবন
যোগসাধনায় সাধুরা একটি দর্শন বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস সাধু-সৈন্যাসীদের মধ্যে এখনো বিদ্যমান।
যোগের মাধ্যমেই অন্তরের ‘আমি’র সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন সাধুরা
তন্ত্রসাধনায় মানুষের মাথার খুলি ব্যবহার করেন তান্ত্রিকরা
ধ্যানমগ্ন সাধু
যোগের দষ্টিভঙ্গি হলো—মন সকল শক্তির উৎস। চেতনা অবিনশ্বর। প্রাণ রহস্যের চাবিকাঠি!
ঋষিগণ বিভিন্নরুপ ধারণ করে বিচরণ করেন, কেউ ধরতে পারে না।
ভ্রান্তধারণা ও সংস্কারের শৃঙ্খলমুক্তির পথই হচ্ছে যোগ সাধনা।
যোগের একটি প্রক্রিয়া শিথিলায়ন। এই প্রক্রিয়ায় মানুষের মধ্যে এমন এক ক্ষমতা তৈরি হয়, যার দ্বারা সে নিজেই নিজের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে পারে।
যোগের মাধ্যমে ইচ্ছেকে নিয়ন্ত্রণ করেন সাধুরা। ইচ্ছে হয়েছে-ঘটনা ঘটেছে। ইচ্ছে করেছেন-মানুষ রোগমুক্ত হয়েছেন। এটি কাজে লাগিয়ে সাধুরা অর্জন করতে পারেন অতিচেতনা।
ঋষিরা মনে করেন-জন্ম-মৃত্যু, পাপ-পূণ্য, দানভিক্ষার মাঝেই অমৃতের কল্যাণ।
থাইল্যান্ডের কুম্ভমেলায় যোগ সাধনায় সাধু!
কঠিন যোগসাধনার মাধ্যমে সাধুরা অর্জন করেন অলৌকিক ক্ষমতা।
বৈদিক যুগে অলৌক শক্তিপ্রাপ্ত সাধুরা মন্ত্র উচ্চারণ করতেন, আর যাদুরমতো সব ঘটনা ঘটে যেতো।
অলৌকিক শক্তি অর্জনের জন্য সাধুরা বছরের পর বছর জপ করতেন।
ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী সাধুরা যোগ সাধনারসময় পছন্দমতো কানো শব্দ লাখ-লাখবার উচ্চারণ করেন।
তাদের বিশ্বাস অগণিতবার বিশেষ কোনো শব্দ উচ্চারণে এমন এক মনোদৈহিক স্পন্দন সৃষ্টিতে সহায়ক হয়, যার ফলে সে তার মনোদৈহিকশক্তি একাগ্রভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
সাননিউজ/এমএইচ