আহমেদ রাজু
১৯৩৬ সাল। স্পেনের সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নেয়। তখন মেরিনা গিনেস্তার বয়স ছিলো ১৭। সামরিক জান্তাকে কিভাবে হঠানো যায়, এ নিয়ে ভাবতে থাকেন কিশোরী মেরিনা।
সেনাদের ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। সামরিক সরকার শুরু করে দমনপীড়ন। ফলে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
মেরিনা বিদ্রোহীদের দলে যোগ দেয়। হাই কমান্ডের নির্দেশে বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে মেরিনা শুরু করেন ওয়ার রিপোর্টিং। রাশিয়ার প্রাভদা পত্রিকার ওয়ার করেসপন্ডেন্টের কাজ শুরু করেন তিনি। একইসঙ্গে অনুবাদের কাজও করতেন। একসময় তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। সাংবাদিকতা ছেড়ে হয়ে যান রণাঙ্গনের যোদ্ধা।
২১ জুলাই, ১৯৩৬। বার্সেলোনার কোলন হোটেলের ছাদে রাইফেল কাঁধে মেরিনা। এই ছবি তোলেন এক ফটোগ্রাফার। পত্রিকায় সেই ছবি ছাপা হলে রাতারাতি সেলিব্রেটি বনে যান তিনি।
১৯৩৯ সালে যুদ্ধ থেমে গেলে প্রথমে তিনি ডোমিনিকানে পালিয়ে যান। কিছুদিন পর তিনি সে দেশের এক কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। ১৯৪৬ সালে তাকে ডোমিনিকান ত্যাগে বাধ্য করা হয়। তিনি আশ্রয় নেন ভেনেজুয়েলায়। ১৯৪৯ সালে তিনি তার স্বামীকে তালাক দিয়ে ফ্রান্সে চলে যান। ১৯৫২ সালে তিনি বেলজিয়ামের এক কূটনীতিককে বিয়ে করে ফিরে আসেন বার্সেলোনায়। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার ফ্রান্সে ফিরে যান।
মেরিনার জন্ম ১৯১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি, ফ্রান্সে। বাবা-মা দুজনেই ছিলেন দর্জি। এগারো বছর বয়সে তিনি বাবা-মার সঙ্গে স্পেনে আসেন।
পরিণত বয়সে তিনি নিজেকে একজন সমাজকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি মারা যান। তখন তার বয়স ছিলো ৯৫ বছর।
সান নিউজ/এনএম-০৩
একাই ২৫ নাৎসীকে বন্দি করেন সিমোন