ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র রমজান মাস চলে এসেছে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের রোজা হবে অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কঠোর বিধিনিষেধের বেড়াজালে অনেক আনুষ্ঠানিকতাই এবার পালন হবে না পৃথিবীর কোথাও!
এবার রমজানে মুসলিমরা আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে সন্ধ্যায় ইফতারি করতে পারবেন না। রাতে দল বেধে মসজিদে গিয়ে তারাবির নামাজও আদায় করতে পারবেন না।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সটি অব মালয়েশিয়ার গবেষক ফাইজাল মুসাকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘এমন পরিস্থিতি অতীতে কখনো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। অতীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ গেছে, অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগও এসেছে। কিন্তু অতীতের কোনো লেখালেখিতে অথবা সাহিত্যেও বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ পাওয়া যায়না। যুদ্ধের সময়, দুর্যোগের সময়েও মুসলমানরা রমজানের সময় একসাথে হয়ে তাদের ধর্মীয় আচার পালন করেছে।’
ব্রিটেনে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় সংগঠন মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এবারের রমজান হবে মুসলমানদের জন্য একদম ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতির সাথে তাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে।’
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, সন্দেহ নেই এবারের রমজান মাস হয়তো মুসলিম ইতিহাসে একেবারে ভিন্ন, ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসাবে ইতিহাসে জায়গা পাবে।
এদিকে রমজানকে ঘিরে সৌদি আরব বুধবার (২২ এপ্রিল) বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে। তবে মিশরে রমজান মাসে জামাতে নামাজসহ যে কোন ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
ইরানে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি রমজান মাসে জনগণকে জামাতে নামাজ না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেরুজালেমে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ আল আকসাতেও রমজানে দিনে পাঁচবার আজান হলেও নামাজ হবে না।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সিঙ্গাপুর, ব্রুনেইতেও এখন মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার ওপর যে বিধিনিষেধ চলছে, রমজান মাসেও তা বহাল থাকবে।