আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সভ্যতার ইতিহাসে মিশরীয় সভ্যতা একটি পুরাতন সভ্যতা। পৃথিবীতে এখনো পর্যন্ত যত সভ্যতা দৃশ্যমান তারমধ্যে এই মিশরীয় সভ্যতা অন্যতম। প্রায় তিনশ' বছর ধরে চলছে এই সভ্যতাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের গবেষণা।
মিশরীয় সভ্যতার সঙ্গে মানবসমাজের আজকের সভ্যতার অনেক দিক থেকে মিল পাওয়া যায়। তবে সেগুলি সেই সময়ের থেকে এখন আরও আধুনিক রূপে পরিণত হয়েছে।
এই সভ্যতার সাধারণ মানুষের আচার, পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, ধর্ম সবই অবাক করার মতো। অন্য সব সভ্যতা থেকে সেগুলি একেবারেই আলাদা। বিভিন্ন সময় আবিষ্কৃত হওয়া মমি এবং কালের সাক্ষী পিরামিডগুলিই এই সভ্যতার রহস্য উন্মোচনে সাহায্য করেছে নানাভাবে।
পোশাকের ব্যাপারে চমকপ্রদ কিছু নজির পাওয়া গেছে। যেখানে দেখা গেছে যে তাদের সময়েও শ্রেণী বিভাজন ছিল এবং সেটাকে তারা বেশ ভালোই গুরুত্ব দিতো। পোশাকে শ্রেণী বিভেদও তুলে ধরতো।
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, নীল নদের তীরে সাধারণ মিশরীয়দের দুটি দল বসবাস করত। সেখানে উঁচু শ্রেণির রাজা অর্থাৎ ‘ফ্যারাও’রা পরতেন সাদা রঙের মুকুট এবং নিচু শ্রেণির রাজারা পরতেন লাল রঙের মুকুট। উঁচু শ্রেণির বাসিন্দাদের পরনের পোশাক ছিল খুবই কম। এরপর একটা সময়ে মিশরেই পোশাক উৎপাদন শুরু করা হলো।
সেই সময়ে সব শ্রেণির মানুষেরাই পোশাকের ব্যবহার করতে শুরু করলেন। নারীরা নিচের অংশে স্কার্ট এবং উপরের অংশে খুব সামান্যই কাপড় পরতেন। আর পুরুষেরা তাদের নিচের অংশে ত্রিভুজাকৃতির ছোট্ট কাপড়ের অংশ ব্যবহার করতেন তাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখার উদ্দেশ্যে। এই ত্রিভুজাকৃতির এক টুকরা কাপড়ের এক বিশেষ নাম ছিল। সেটি হলো ‘শেহেন্তি’।
রাজাদের জন্য ছিল আয়তাকার এক টুকরো কাপড়। সেটাকে তারা কোমরের বেল্টের সঙ্গে আটকে রাখত। এর উপরে সাদা কাপড়ের একটি স্কার্টের মতো অংশ দেওয়া থাকতো। এর নাম ছিল ‘কালাসিরিস’। এটি এমন লম্বা ছিল যে রাজার গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা থাকত। শরীরের উপরের অংশে একটি চাদরের মতো কাপড় ডান থেকে বাম দিকে জড়িয়ে রাখতেন তারা। যদিও পরে এই স্কার্ট ছোট হয়ে হাঁটুর কাছ পর্যন্ত হয়। ভেড়ার উল, ছাগলের লোম এবং পাম থেকে তৈরি হতো পোশাক।
সান নিউজ/এসএস