নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: মতিউর রহমান’র জন্ম
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
রোববার (৩ নভেম্বর) ১৯ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান’র প্রয়াণ
ঘটনাবলী
১৪৯৩ – ইতালিয়ান নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার দ্বিতীয় অভিযাত্রায় ক্যারিবিয়ান সাগরে ডোমিনিকা আবিষ্কার করেন।
১৮৩৮ - ভারতে বহুল প্রচারিত ইংরাজী দৈনিক দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৩ - মধ্য আমেরিকার প্রজাতন্ত্র পানামা কলম্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯২৮ - তুরস্কে আরবি হরফের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে তার পরিবর্তে রোমান হরফ চালু করে।
১৯৫৭ – লাইকা নামের একটি রাশিয়ার কুকুরকে নিয়ে জীবন্ত প্রাণী বহনকারী প্রথম নভোযান স্পুটনিক-২ মহাশূন্যে পাঠানো হয়।
১৯৭০ - ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্য ডোমিনিকার স্বাধীনতা লাভ।
১৯৭৫ - বাংলাদেশের চার জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়।
২০২০ - ৫৯ তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মতিউর রহমান’র জন্ম
জন্ম
১৮৬৬ - দীনেশচন্দ্র সেন, লোকসাহিত্য বিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার।
১৮৯৭ - আবুল কালাম শামসুদ্দীন, বাংলাদেশের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ।
১৯০৩ - কনক বিশ্বাস, বিশ শতকের খ্যাতনামা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী।
১৯১৩ - প্রদ্যোতকুমার ভট্টাচার্য, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
১৯১৩ - নিখিল চক্রবর্তী, খ্যাতনামা সাংবাদিক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও ভারতের প্রসার-ভারতীর বোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান।
১৯১৯ - অরবিন্দ পোদ্দার, বাঙালি লেখক, অধ্যাপক ও গবেষক।
১৯৩৩ - অমর্ত্য সেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ।
১৯৩৪ - রুমা গুহঠাকুরতা, বাঙালি অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, গায়িকা ও ক্যালকাটা ইয়ুথ ক্যয়ারের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪০ - সনি রোডস, আমেরিকান গায়ক ও গিটার।
১৯৪৫ - গার্ড ম্যুলার, প্রাক্তন পশ্চিম জার্মান ফুটবলার।
১৯৬৪ - পাপরিকা স্টেন, ডেনিশ অভিনেত্রী, গায়ক ও পরিচালক।
১৯৭৩ - মৌসুমী, বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রী
১৯৭৪ - সোনালী কুলকার্নি, তিনি ভারতীয় অভিনেত্রী।
১৯৮৫ - মোনালি ঠাকুর, বাঙালি ভারতীয় মূলত কণ্ঠশিল্পী এবং অভিনেত্রী
১৯৮৭ - গেমমা ওয়ার্ড, অস্ট্রেলিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী।
১৯৮৯ - শুভশ্রী গাঙ্গুলী, ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
১৯৯৫ - কেন্ডাল জেনার, আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: মান্না দে’র প্রয়াণ
মৃত্যু
১৯৫৪ - আঁরি মাতিস, ফরাসি চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর।
১৯৭৫ - তাজউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা।
তাজউদ্দীন আহমদ (২৩ জুলাই ১৯২৫ - ৩ নভেম্বর ১৯৭৫) হলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা “মুজিবনগর সরকার” নামে অধিক পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর আরও তিনজন জাতীয় নেতা-সহ তাঁকে বন্দি করে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর বন্দি অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়।
১৯৭৫ - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
১৯৭৫ - মোঃ মনসুর আলী, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৫ - আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা।
১৯৭৭ - মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা, বাংলাদেশী রসায়নবিদ, গ্রন্থকার এবং শিক্ষাবিদ।
১৯৭৭ - ফ্র্যাডেরিক চালমার্স বোর্ন, পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর।
১৯৯০ - ভারতের বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মাতা শশধর মুখার্জী।
১৯৯১ - বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক।
১৯৯৯ - ইয়ান বান্নেন, স্কটিশ অভিনেতা।
২০০৬ - মারি রুডিসিল্, আমেরিকান লেখক।
২০০৯ - আর্চি বাইরড, স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ।
২০১৪ - গর্ডন টুলক, আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।
২০১৭ - আবদুর রহমান বিশ্বাস, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি।
সান নিউজ/এএন