সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এ সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ রোববার (১২ মে) ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: ভাস্কর নভেরা আহমেদ’র প্রয়াণ
ঘটনাবলী:
১৬৬৬ - মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য শিবাজি আগ্রায় আসেন।
১৮৭৭ - ভারতীয় মুসলমানদের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডানের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯১৫ - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব রাসবিহারী বসু বৃটিশের শ্যেন চক্ষু ফাঁকি দিয়ে কলকাতার খিদিরপুর বন্দর হতে জাপানি জাহাজ 'সানুকি-মারু' সহযোগে তিনি ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন।
১৯৪১ - আডলফ হিটলার ইরাকের স্বাধীনতা সংগ্রামী রশীদ আলি গিলানির জন্য দুইটি বোমারু বিমান প্রেরণ করেছিলেন।
১৯৪৯ - পশ্চিম বার্লিনের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন আরোপিত অবরোধের অবসান ঘটে।
১৯৫৫ - সিলেটের হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।
১৯৬৫ - বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে ১৭ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় স্পেন ও দক্ষিণ কোরিয়া।
১৯৯৪ - আজারাইজান প্রজাতন্ত্র এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতি হয়।
২০১৮ - বাংলাদেশ সময় রাত ২:১৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়।
আরও পড়ুন: পানামা খাল নির্মাণ শুরু
জন্মদিন:
১৪৯৬ - সুইডেনের প্রথম গুস্তাভ, ১৫২৩ সাল থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত সুইডেনের রাজা ছিলেন। (মৃ. ১৫৬০)
১৮২০ - ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক ও পরিসংখ্যানবিদ। (মৃ. ১৯১০)
১৮৫৫ - প্রমথনাথ বসু, বাঙালি ভুতত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী। (মৃ. ১৯৩৫)
১৮৬৩ - উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী, বিখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও বাংলা ছাপাখানার অগ্রপথিক। (মৃ. ১৯১৫)
১৮৬৭ - হিউ ট্রাম্বল, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন।। (মৃ. ১৯৩৮)
১৮৯৫ - উইলিয়াম ফ্রান্সিস জিওক, মার্কিন রসায়নবিদ। (মৃ. ১৯৮২)
১৯০৭ - ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী। (মৃ. ২০০৩)
১৯১০ - জেমস ডাডলি, আমেরিকান বেসবল খেলোয়াড় এবং পেশাদার রেসলিং ম্যানেজার ও নির্বাহী। (মৃ. ২০০৪)
১৯১০ - ডরোথি মেরি হজকিন, ব্রিটিশ রসায়নবিজ্ঞানী। (মৃ. ১৯৯৪)
১৯১৩ - ত্রিপুরা সেনগুপ্ত, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।
১৯২৪ - অ্যান্টনি হিউসিস, নোবেলজয়ী (১৯৭৪) ব্রিটিশ মহাকাশ বিজ্ঞানী।
১৯২৯ - স্যাম নজুমা, নামিবীয় বিপ্লবী, বর্ণবাদ বিরোধী কর্মী এবং রাজনীতিবিদ।
১৯৩৭ - জর্জ কার্লিন, আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা, অভিনেতা এবং লেখক। (মৃ. ২০০৮)
১৯৪১ - আহমদুল্লাহ, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান মুফতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর।
১৯৭৭ - মরিয়ম মির্জাখানি, ইরানি গণিতবিদ। (মৃ. ২০১৭)
১৯৭৯ - মিলা ইসলাম, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৮০ - ঋষি সুনক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবরে।
১৯৮১ - রামি মালেক, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৮৬ - এমিলি ভ্যানক্যাম্প, কানাডিয়ান অভিনেত্রী।
১৯৮৭ - কিরণ পোলার্ড, ত্রিনিদাদীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৮ - মার্সেলো ভিয়েরা, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
১৯৯৭ - ওদেয়া রাশ, ইস্রায়েলি অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: লিওনার্দো দা ভিঞ্চি’র প্রয়াণ
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৭০০ - জন ড্রাইডেন, ইংরেজ লেখক, কবি ও নাট্যকার ছিলেন। (জ. ১৬৩১)
১৮৪৫ - আউগুস্ট ভিলহেল্ম ফন শ্লেগেল, জার্মান কবি, অনুবাদক ও সমালোচক।
১৯৪০ - বিশিষ্ট কর্মব্রতী, সাহিত্যানুরাগী ও রবীন্দ্রনাথ পরিকল্পিত শ্রীনিকেতনের মুখ্য সংগঠক কালীমোহন ঘোষ । (জ. ১৮৮২)
১৯৪১ - দীনেশরঞ্জন দাশ, বাঙালি লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক। (জ. ১৮৮৮)
১৯৫৭ - এরিক ভন স্ট্রোহেইম, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা।
১৯৭১ - সাদত আলী আখন্দ, প্রবন্ধকার, সাহিত্যিক।
২০০১ - ডিডি, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
২০০৫ - মার্টিন লিংগস, যার ইসলামিক নাম আবু বক্কর সিরাজুদ্দিন, তিনি একজন পশ্চিমা লেখক, শিক্ষাবিদ ও ফ্রিটজফ শুয়ানের শিষ্য ও শেক্সপিয়র বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। (জ. ১৯০৯)
২০১৫ - সুচিত্রা ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
২০১৯ - হায়াৎ সাইফ, বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্য সমালোচক। (জ. ১৯৪২)
আরও পড়ুন: শ্রমিক দিবস আজ
দিবস:
বিশ্ব মা দিবস।
সবচেয়ে মধুরতম ডাক হচ্ছে মা। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকিয়ে থাকে গভীর স্নেহ, মমতা ও সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় বা উদ্দীপনা প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল।
প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস।
জানা গেছে, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সান ডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস
বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুল শিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবেন।
নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস
১৯০৮ সালে বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন।
পরবর্তীতে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
সান নিউজ/এনজে