সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: তারাপদ চক্রবর্তী’র জন্ম
সান নিউজের পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) ১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ শাওয়াল ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস
ঘটনাবলী:
৬৫৯ - দিল্লির সিংহাসন দখলের জন্য আওরঙ্গবেজ ও দারাশিকোহর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮২৮ - ওয়েবস্টার তার অভিধানের প্রথম সংস্করণ কপিরাইটভুক্ত করেন।
১৮৯০ - প্যান আমেরিকা জোট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৪ - বম্বের (বর্তমানে মুম্বাই) ভিক্টোরিয়া ডাকে গোলাবারুদ র্ভতি জাহাজে বিস্ফোরণ, ১২ শতাধিক লোকের মৃত্যু।
১৯৫৮ - অরুণা আসফ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত।
১৯৬১ - কিউবা সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের বিপ্লবীদের অভিযান শুরু হয়।
১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মাদাগাস্কার।
১৯৭৫ - বাংলাদেশে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ৬ দলীয় জোট গঠন।
১৯৮৬ - বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) প্রতিষ্ঠা।
১৯৮৮ - আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে সোভিয়েত সরকার জেনেভা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
২০০২ - ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে তার দায়িত্বভার নেন।
আরও পড়ুন: নবাব আলীবর্দী খাঁ’র প্রয়াণ
জন্মদিন:
১৮৮৯ - ঐতিহাসিক আর্নল্ড জোসেফ টয়েনবি।
১৮৯১ - ভীমরাও রামজি আম্বেডকর হলেন একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী, আইনজ্ঞ এবং ভারতের দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
১৯০৪ - জন গিলগুড, ইংরেজ অভিনেতা ও মঞ্চ পরিচালক। (মৃ. ২০০০)
১৯০৭ - প্রভাস রায়, স্বদেশী ও খিলাফত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। (মৃ. ১৯৯১)
প্রভাস রায় (জন্ম ১৪ এপ্রিল, ১৯০৭ - মৃত্যু ২৩ মে, ১৯৯১) স্বদেশী ও খিলাফত আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। প্রভাস রায়ের জন্ম ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বুড়ুলে। পিতার নাম সুরেন্দ্রনাথ রায়।
স্কুলের পড়াশোনা বুড়ুল হাই স্কুলে। কৈশোরেই তিনি স্বদেশী আন্দোলন ও ঐতিহাসিক খিলাফত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। স্কুলে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি শিক্ষক হিসেবে পেলেন চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম সংগঠক মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী অনুরূপচন্দ্র সেনকে। তার সংস্পর্শে এসে বিপ্লবী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে অনুরূপচন্দ্র সেন গ্রেফতার হন এবং সেই সময় তার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি কলেজ থেকে গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে যান। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা'র সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক অলিম্পিকের সূচনা
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পরই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি আত্মগোপন করে থাকলেও ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ধরা পড়েন। কারাবাসের সময় ভবানী সেন, ধরণীধর গোস্বামী, আবদুল রেজ্জাক খাঁ প্রমুখের কাছে মার্কসবাদের শিক্ষা নেন।
১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে জেল হতে মুক্ত হয়ে শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলন আত্মনিয়োগ করেন। ওই বছরই কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ পান। আবদুল মোমিন, নিত্যানন্দ চৌধুরী প্রমুখের সঙ্গে বিড়লাপুর, বজবজ, মেটিয়াবুরুজ চটকল, সূতাকল শ্রমিকদের আন্দোলন সংগঠিত করেন।
পার্টির নির্দেশে ১৯৩৯-১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চব্বিশ পরগনা জেলা কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কংগ্রেস ছাড়েন এবং সে বছরই কাকদ্বীপ, সন্দেশখালি প্রভৃতি স্থানে কৃষকদের ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। সহকর্মী হিসাবে কংসারী হালদারও ছিলেন।
১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে তিনিও আত্মগোপন করেন। কিন্তু কিছুকাল পরই গ্রেফতার হন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পার্টির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হলে তিনি ছাড়া পান।
১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টি বিভক্ত হলে তিনি সি.পি .আই.(এম)-এ যোগ দেন এবং চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন । দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৯৫২-১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ ব্যতিরেকে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের সাধারণ নির্বাচন অবধি প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়েছেন । প্রথম ও দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট এবং প্রথমে ও দ্বিতীয় বামফ্রন্ট মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন তিনি।
প্রভাস রায় ৮৪ বছর বয়সে ইংরাজী ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে (৭ জ্যেষ্ঠ ১৩৯৮ বঙ্গাব্দ) প্রয়াত হন। পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার আমতলায় "প্রভাস রায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং সেন্টার" স্থাপন করে।
১৯০৭ - পূরণচাঁদ জোশী, ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের একজন এবং প্রথম সচিব। (মৃ. ১৯৮০)
১৯২২ - আলি আকবর খান ,মাইহার ঘরানার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। (মৃ. ২০০৯)
১৯৪৭ - সাযযাদ কাদির, প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯৬৪ - মান্না, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক। (মৃ. ২০০৮)
আরও পড়ুন: বিশ্ব আবহাওয়া দিবস
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৬৮০ - মারাঠা নেতা ছত্রপতি শিবাজী।
১৮৬৫ - যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন আততায়ীর গুলিতে আহত হন।
১৯২৫ - জন সিঙ্গার সার্জেন্ট, আমেরিকান চিত্রশিল্পী। (জ. ১৮৫৬)
১৯৩০ - ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি, রুশ এবং সোভিয়েত কবি, নাট্যকার, শিল্পী ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯৬৩ - রাহুল সাংকৃত্যায়ন, ভারতীয় সুপণ্ডিত ও স্বনামধন্য পর্যটক। (জ. ১৯২৫)
১৯৮৪ - অণিমা হোড় - একজন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী, শ্রমিকনেত্রী এবং সমাজকর্মী।
১৯৮৬ - নীতীন বসু ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। (জ. ১৮৯৭)
১৯৮৬ - ফরাসী ঔপন্যাসিক ও নারীবাদী সিমন দ্য বোভোয়ার।
২০২১ - আব্দুল মতিন খসরু, বাংলাদেশের সাবেক আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্ব চিকিৎসক দিবস
দিবস:
পহেলা বৈশাখ। (বাংলাদেশ)
সান নিউজ/এনজে