লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রচণ্ড ঝাল-টক-মিষ্টি মশলা পানিতে ভেজানো এই কুড়মুড়ে খাদ্যটি খেয়ে যতই চোখ-নাক দিয়ে পানি পড়ুক, জিভের পানি আটকানো যায় না। ফুচকা কিন্তু ঘরেও বানানো যায়। তবে ভোজনরসিকদের কাছে রাস্তার ফুচকাই প্রিয়। বাঙালি নারীর সবচেয়ে প্রিয় খাবারের তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে ফুচকার নাম।
আরও পড়ুন: চুল মজবুত করবে ১০ হেয়ার প্যাক
মশলাদার খাবার ফুচকা খাওয়ার ধরন সব অঞ্চলে একই রকম হয় না। অঞ্চলভেদে এর তৈরির প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা রয়েছে। কোথাও পেঁয়াজ ছাড়া নিরামিষ উপকরণ দিয়ে ফুচকা তৈরি করা হয়। কোথাও আবার পেঁয়াজ দিয়ে ফুচকা তৈরি করার চল। এছাড়া এর চাটনি তৈরির প্রক্রিয়াও অনেকরকম।
সাধারণত পুদিনা পাতা, লেবু, তেঁতুল দিয়ে তৈরি করা হয় ফুচকার পানি। এর ভেতরের পুর হিসাবে থাকে আলু। বিভিন্ন সুস্বাদু মসলা, ছোলা, মটর দিয়ে মাখানো হয় সেই আলু। সাধারণত এটিই পুর হিসেবে ব্যবহার করা হয় আবার অনেকে মিষ্টি পানি দেওয়া ফুচকা বেশি পছন্দ করেন। অর্থাৎ, ফুচকার চাটনির সঙ্গে চিনিও মিশিয়ে দেওয়া হয়। ফুচকা তৈরির পর সেদ্ধ ডিম কুচি করে দেওয়া হয় অনেক জায়গায়। যারা বাড়তি ঝাল চান তাই অতিরিক্ত মরিচ কুচি যোগ করে নেন।
আরও পড়ুন: ত্বকে উজ্জ্বলতা আনবে ৬ খাবার
ফুচকার উৎপত্তি কোথায় হয়েছিল এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। ভারতীয় রন্ধন বিশেষজ্ঞ কুরুশ দালালের মতে, উত্তর ভারতেই প্রথম প্রচলন হয়েছিল জনপ্রিয় এই মুখরোচক খাবারের। রাজ কচুরি থেকে বিবর্তিত হয়ে এই খাবার উৎপত্তি হয়েছে, এমনটাই বলেন তিনি।
সান নিউজ/এএন