লাইফস্টাইল ডেস্ক: মেধাচর্চায় থাকা মানুষদের মূলত শক্তি খরচ হয় বেশি। আর অনেকেরই ধারণা শুয়ে-বসে পড়তে তেমন শক্তি খরচ হয় না। কিন্তু সেটা যে ভুল ধারণা, তার সত্যতা মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
আরও পড়ুন : বেগুন-টমেটো ভর্তার রেসিপি
এজন্য যারা এখনো শিক্ষার্থী, তাদের যথেষ্ট শক্তির জোগান দিতে প্রয়োজন সুষম খাদ্য। অন্যথায় শারীরিক দুর্বলতা প্রভাব ফেলতে পারে পড়াশোনাতেও। তাই খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যেসব বিষয় মেনে চলা উচিত-
সকালে নাশতা না করার বাজে অভ্যাস তরুণ-তরুণীর মাঝে বেশ ভালোভাবেই লক্ষ করা যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নাশতা করার জন্য অতিরিক্ত সময় নেয়াটাকে অহেতুক মনে করেন তারা। তাই হয়তো ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে ব্যাগ, বইপত্র নিয়ে কোনো রকমে ভোঁ-দৌড় আর এটাই একজন শিক্ষার্থীর শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন : হাঁসের মালাইকারি তৈরির রেসিপি
রাতের দীর্ঘ ঘুমের পর সকালে খালি পেটে থাকাটা একেবারেই অনুচিত। সারা দিনের ক্লাস অথবা পরীক্ষায় যতটা মেধা খরচ হয়, এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত খাবারের। তাই সকালের নাশতাটা হওয়া চাই ভরপুর ও প্রোটিনসমৃদ্ধ।
শরীর গঠনে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দুধ রাখা উচিত কিন্তু যদি নিতান্তই দুধ খেতে না চান, তবে কম ফ্যাটের দই, পনির রাখুন খাদ্য তালিকায়। সবুজ শাকসবজিও রাখুন প্রতিদিনের খাবারের সাথে।
আরও পড়ুন : মুরগির শাহী কোরম ‘র রেসিপি
সব কিছুর সাথে পানিও পান করতে হবে পর্যাপ্ত। দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা দরকার। তবে কেউ যদি জিম অথবা যেকোনো ব্যায়াম করে থাকেন নিয়মিত, সেক্ষেত্রে পানি পান করতে হবে আরও বেশি।
রাত জেগে পড়াশোনা করার সময় একটু পরপর পানি পান করাটা শ্রেয়। ক্লাস কিংবা পরীক্ষা যখনই হোক না কেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে পানির বোতল নিতে ভুললে চলবে না।
আরও পড়ুন : বড়দিনে ঘর সাজানোর উপায়
ক্লাসের ফাঁকে খানিকটা সময় মিললে ক্ষুধা নিবারণের জন্য দোকানের পিৎজা, বার্গার, চিপসসহ নানা ধরনের ফাস্টফুড খাবারই পছন্দের তালিকায় থাকে। এসব খাবার তাৎক্ষণিক ক্ষুধা মেটালেও পরবর্তীতে তা ক্ষতির কারণ হয়।
অতিরিক্ত তেল, চর্বি, শর্করাসমৃদ্ধ এসব খাবার শরীরে মেদ জমায় তাড়াতাড়ি, যা পরবর্তীতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন : শুঁটকি ভর্তা তৈরির রেসিপি
রাতে বা দিনে খাবারের সময়টুকু পরিবারের সঙ্গে খেতে চেষ্টা করুন। এ সময় টেলিভিশন দেখা, বই পড়া কিংবা সামাজিক মাধ্যমে সময় কাটানো থেকে বিরত থাকুন।
সান নিউজ/এএন/এমআর