লাইফস্টাইল ডেস্ক: লো ব্লাড প্রেসারের জন্য মাথা ঘোরা এবং শারীরে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। ইমারজেন্সি ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ঘরোয়া প্রতিকার এক্ষেত্রে উপকার বয়ে আনতে পারে।
আরও পড়ুন: ১০ নম্বর গ্যাসকূপে তেলের সন্ধান
বিভিন্ন কারণে যদি লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তাহলে কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। ইাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের মতো এটিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জেনে নেওয়া যাক- লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপের ঘরোয়া প্রতিকার-
খাবারে একটু বেশি লবণ যোগ করুন: খাবারে অল্পএকটু বেশি পরিমাণে লবণ যোগ করলে তা লোব্লাড প্রেসার বাড়াতে সহায়তা করে থাকে। পাশাপাশি খাদ্যতালিকাগত কোনো পরিবর্তন করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যান্ত জরুরি ।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন লো ব্লাড প্রেসারের প্রধান কারণ। ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়, পানি, বিভিন্ন রকমের ভেষজ চা, পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। ডাবের পানি রেঅ ব্লাড প্রেসার সমস্যায় ভোগা মানুষদের জন্য অনেক উপকারী। এজন্য নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাদ্য খেতে হবে।
এক কাপ কফি পান করুন: ১ কাপ কফি অথবা চা পান করলে রক্তচাপ কিছু সময়ের জন্য বৃদ্ধি পায় কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে একসঙ্গে কয়েক কাপ খেয়ে ফেলা যাবে না। কারণ মাএা অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে পানিশূন্যতা ও বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় নিহত ৬
যোগব্যায়াম এবং শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম: যোগব্যায়াম ও গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামে পেশী শিথিল করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এজন্য নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করা যেতে পারে। এতে করে অনেকটাই শস্তি পাওয়া যায়।
তুলসী চা: তুলসী বিভিন্ন রকম গুণাগুণ সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। তুলসী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। গরম পানিতে সতেজ বা শুকনো তুলসী পাতা দিয়ে তুলসী চা বানিয়ে ফেলুন। নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দূর করতে তুলসী চা পান করার অনকে উপকারিতা আছে।
আরও পড়ুন: মিনি ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: হাঁটা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়ামগুলো অনেক উপকারী, এজন্য এ ধরনের ব্যায়ামের অভ্যাস করা জরুরি। নিয়ম করে ব্যায়াম করলে , নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারা যায়। কিন্তু নতুন ব্যায়াম শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।
বিটরুটের রস: বিটরুটে নাইট্রেট জাতীয় এসিড বিদ্যমান, যা রক্তনালীকে প্রসারিত করে ও রক্ত প্রবাহ উন্নত সাধন করতে সহাযতা করে। বিটরুটের রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাদের কিডনির সমস্যা আছে ,তাদের খাওয়া যাবে না, কারণ এতে আছে উচ্চ অক্সালেট ।
অল্প খান, বারবার খান: সারাদিনে অল্প করে ঘন ঘন খাবার গ্রহণ করলে তা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ভারী খাবারের কারণে রক্তচাপ অস্থায়ীভাবে কমে যায় কারণ রক্ত পরিপাকতন্ত্রের দিকে পরিচালিত হয়। এজন্য একবারে অনেক খাবার খাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন
পর্যাপ্ত ঘুম: অপর্যাপ্ত বিশ্রাম নিম্ন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় । এজন্য একটি আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করে নিতে হবে।
সান নিউজ/এএন/এএ