লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমরা বার বার যা করি, মস্তিষ্ক তাই ধারণ করে এবং স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়। তাই মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করলে, তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরো ভালো রাখবে। দৈনদিন রুটিনের বাইরে গিয়ে কিছু করাটাই মস্তিষ্কের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: শোল মাছের দোপেঁয়াজার রেসিপি
স্মৃতিক্ষয় প্রতিরোধ ও মনকে উৎফুল্ল রাখার জন্য এই প্রতিবেদনে মস্তিষ্কের অদ্ভুত কিছু ব্যায়াম তুলে ধরা হলো।
বাম হাত দিয়ে দাঁত ব্রাশ: আপনি যদি ডানহাতি হলে বাম হাত দিয়ে ব্রাশে টুথপেস্ট লাগান এবং বাম হাত দিয়েই দাঁত ব্রাশ করুন। আর বামহাতি হলে ডান হাত দিয়ে এই কাজ করুন। এটি মস্তিষ্কের জন্য এক ধরনের মানসিক ব্যায়াম। গবেষণায় বলা হয়েছে, হাতের সাথে যেহেতু মস্তিষ্কের উদ্দীপনার যোগসূত্র থাকে, তাই মস্তিষ্কের বিপরীত দিক ব্যবহার করার অনেক সুবিধা রয়েছে।
চোখ বন্ধ করে গোসল: মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য চোখ বন্ধ করে গোসল করতে পারেন। আমাদের হাত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গবিন্যাস পর্যবেক্ষণ করতে পারে যা আমাদের চোখ দেখতে পারে না এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে প্রদান করে। তবে পানির তাপমাত্রা চোখ খোলা অবস্থায় ঠিক করে নিন।
আরও পড়ুন: মাংস ফ্রিজে কতদিন ভালো থাকে?
ব্যবহৃত জিনিসগুলো উল্টে রাখা: কোনো কিছুকে উল্টানো দেখলে মস্তিষ্কের মনোযোগ বেড়ে যায় সেই জিনিসটির প্রতি। তখন তার আকার, বর্ণ বিশ্লেষণ করতে থাকে। তাই মস্তিষ্কের নতুন অভিজ্ঞতার জন্য ঘরে রাখা পারিবারিক ছবি, টেবিলে রাখা ঘড়ি এবং ক্যালেন্ডার উল্টে রাখুন।
খাবার টেবিলের চেয়ার পরিবর্তন: বেশিরভাগ পরিবারে সবার আলাদা আলাদা চেয়ার থাকে যেটাতে বসে খাওয়া হয়। কিন্তু আপনার মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা দিতে আপনার ঘরের খাবার টেবিলের চেয়ারগুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে বা পরিবর্তন করুন নিজের ইচ্ছামতো।
আরও পড়ুন: ফুলকপি না বাঁধাকপি এগিয়ে?
মার্কেটে পর্যবেক্ষণ: মার্কেটে বা অন্যান্য দোকানে অনেক জিনিস সাজানো থাকে কিন্তু আমরা কখনোই তা ভালো করে খেয়াল করি না। মস্তিষ্কের অভিজ্ঞতা বাড়াতে সময় নিয়ে দোকানে সাজানো সব জিনিসের প্রতি চোখ বুলান। কি লেখা আছে সেটা পড়ার চেষ্টা করুন। কোনো কিছু কেনার পূর্বে উক্ত পণ্যের গায়ে থাকা তথ্যগুলো ভালো করে পড়ে দেখুন এতে মস্তিষ্কের জন্য ভালো অনুশীলন হবে।
ভিন্নভাবে পড়া: যখন কেউ কিছু জোরে জোরে পড়ে এবং আমরা শুনি তখন মস্তিষ্ক আলাদা আলাদা অংশ একই সঙ্গে ব্যবহার করে। কিন্তু যখন নীরবে একা একা পড়ি তখন এটি ঘটে না। তাই নীরবে পড়ার থেকে জোরে পড়ুন। এতে করে মস্তিষ্কের অনুশীলন হবে।
আরও পড়ুন: ডালের কাটলেট তৈরির রেসিপি
অপরিচিত খাবার খাওয়া: আমাদের মস্তিষ্ক খাবারকে শনাক্ত করে তার গন্ধের মাধ্যমে। এবং এটি সরাসরি মস্তিষ্কের ইমোশনাল সেন্টারের সাথে সংযুক্ত। তাই এখন থেকে কোথাও খেতে গেলে অপরিচিত খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। কিছু অপরিচিত খাবারের রেসিপি শিখে নতুন খাবারের স্বাদ নিতে পারেন এতে মস্তিষ্কের অনুশীলন হবে।
সান নিউজ/এসকে