লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই বাজারে গুড় উঠতে শুরু করেছে। গুড়ের ঘ্রাণে মুগ্ধ হয় না, এমন মানুষ কমই আছে। শীতকালে গুড় দিয়ে তৈরি হয় বাহারি সব পিঠা। গুড় ছাড়া যেন পিঠার স্বাদ বাড়ে না।
আরও পড়ুন: শীতে আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা কমাবে ৩ খাবার
তবে স্বাদের পাশাপাশি গুড়ের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। তাই চিনির বদলে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এটি শরীর থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য় করে। এমনকি সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও দূরে রাখে।
তবে বর্তমানে বাজারে যেসব গুড় পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই কেমিক্যাল মিশ্রিত, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু দোকানে গিয়ে কীভাবে বুঝবেন, কোনটা আসল গুড় আর কোনটাতে কেমিক্যাল মেশানো আছে?
আরও পড়ুন: ফুলকপি না বাঁধাকপি এগিয়ে?
জেনে নিন আসল গুড় চেনার উপায়-
১) কেমিক্যালবিহীন গুড়ের রং হয় কালচে বা গাঢ় বাদামি।
২) গুড়ের রং সাদা, হলুদ বা লাল হলে বুঝতে হবে কেমিক্যাল মেশানো আছে।
৩) গুড়ের স্বাদে যদি নোনতা হয়, তাহলে বুঝতে হবে কেমিক্যাল মেশানো আছে।
আরও পড়ুন: শীতে এড়িয়ে যেতে হবে ৩ ভুল
গুড়ের বিভিন্ন উপকারিতা:
গুড়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। হালকা গরম পানির সাথে গুড় মিশিয়ে পান করলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও গুড়ের পানি দারুণ উপকারী।
সর্দি-কাশির সমস্যায়ও গরম পানির সাথে গুড় মিশিয়ে পান করলে উপকার মেলে। অনেকের শীতকালে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। তাদের জন্যও গুড়ের পানি উপকারী।
আরও পড়ুন: শীতকালে ত্বকের যত্ন যেভাবে!
এছাড়া গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ও মিনারেলস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়ায়।
গুড়ে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এছাড়া রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতেও দারুণ সাহায্য করে গুড়। ওজন কমাতেও সাহায্য করে গুড়ের পানি। সেই সাথে আর্থ্রাইটিসসহ অন্যান্য হাড়ের সমস্যাও দূর করে গুড়। সূত্র: এবিপি
সান নিউজ/এনজে