লাইফস্টাইল ডেস্ক: ব্রেইনে কোনো কারণে হঠাৎ রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে কিছু ব্রেইন টিস্যু মারা যায়, এটাই স্ট্রোক। মনে রাখতে হবে, স্ট্রোক হার্টের কোনো রোগ নয়, স্ট্রোক হয় ব্রেইনে।
আরও পড়ুন : খুদের পোলাওয়ের রেসিপি
স্ট্রোক সাথে সাথে বুঝতে পারলে জীবনরক্ষা করা সম্ভব। অনেক সময় আমরা সেটা বুঝতে পারি না, ফলে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়, এবং স্ট্রোকে মৃত্যু।
আপনাকে FAST শব্দটি দ্বারা স্ট্রোক হয়েছে কিনা নিশ্চিত হোন।
(১) F=Face (মুখ), স্ট্রোকের সাথে সাথে মুখ বেঁকে যায়।
(২) A=Arm (হাত) শরীরের যে কোনো এক পাশের হাত পা প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
(৩) S= Speech (কথা) কথা বলতে সমস্যা হয়।
(৪) T= Time to call 999 for Ambulance।
তাহলে FAST শব্দটি দ্বারা বুঝতে পারলেন, আপনার নিকটজন স্ট্রোক করেছে ও অ্যাম্বুলেন্স কল দিয়েছেন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন : সুইট অ্যান্ড সাওয়ার চিকেন তৈরির রেসিপি
কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স না আসা পর্যন্ত আপনি কী করবেন-
(১) রোগীর যদি জ্ঞান থাকে তাহলে এক পাশ করে শুইয়ে দিন। প্যারালাইসিস অংশ ওপরে থাকবে, সুস্থ অংশ বিছানার সাথে নিচে থাকবে। ২ টি বালিশ দিয়ে মাথা ওপরের দিকে রাখবেন।
অবশ্যই মাথা এবং প্যারালাইসিস হাতকে সাপোর্ট দিয়ে রাখবেন। মনে রাখবেন, প্যারালাইসিস হাত যেন না ঝুলে থাকে।
(২) প্যারালাইসিস হাতকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। তাতে করে পরবর্তীতে সোল্ডার সাবলাক্সেশন হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। ফলে ঐ রোগী পরবর্তীতে ভালো করা কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ডায়াবেটিস বাড়ায় যেসব কাজ
(৩) স্ট্রোক করা রোগীকে কোনো কিছু খেতে দেবেন না।
(৪) শরীরে টাইট কাপড় পরা থাকলে খুলে দিবেন, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে রোগীর অসুবিধা না হয়।
(৫) রোগী যদি অজ্ঞান থাকে, তাহলে ভালো পাশে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস চেক করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস ওকে থাকলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করুন।
(৬) শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস পাওয়া না যায় সিপিআর (CPR-Cardiopulmonary Resuscitation) শুরু করতে পারেন। আপনার নিকটবর্তী হেলথ কেয়ার প্রফেশনালের সহযোগিতা নিতে পারেন।
সান নিউজ/এমএ