লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমরা ওটসকে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে চিনি। এটি শরীরের নানা উপকার করে থাকে। তবে ওটস সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের কাশি দূর হবে যেসব খাবারে
ওটস খাবেন কিনা, তা ভেবে দেখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ এটি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। কারো কারো জন্য এটি উপকারী নাও হতে পারে। তাই অপকারিতাগুলো জানা থাকলে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে তা এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।
জেনে নিন ওটস খাওয়ার কিছু অপকারিতা-
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচ খাওয়ার উপকারিতা
(১) হজমে সমস্যা: ওটস প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেনমুক্ত হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে এটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। ওটস প্রক্রিয়াজাত করার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গম ও বার্লি ইত্যাদির মতো গ্লুটেন যুক্ত হয়, যা সংবেদনশীল কারো ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সিলিয়াক ডিজিজ বা নন-সেলিয়াক গ্লুটেন ইনটলারেন্স রয়েছে এমন কারো ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। কখনো কখনো ওটসের উচ্চ ফাইবার উপাদান পেট ফাঁপা, গ্যাস ও হজমের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
(২) রক্তে শর্করার বৃদ্ধি: ওটস একটি জটিল কার্বো-হাইড্রেট। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষ করে যখন বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। এটি ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তির জন্য বা যারা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কার্বো-হাইড্রেট সুষম খাদ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরিমিত না খেলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন বা যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য এটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ওটস যদি প্রচুর পরিমাণে খেলে দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: নারীর যেসব খাবার হাড় ভালো থাকবে
(৩) উচ্চ ফসফরাস সামগ্রী: ওটসে তুলনামূলকভাবে বেশি ফসফরাস থাকে। ফলে এটি কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত ফসফরাস গ্রহণ করলে খনিজ ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। সেই সাথে কিডনির স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তারা ওটস খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
(৪) অ্যালার্জি: যদিও গমের মতো অন্যান্য শস্যের অ্যালার্জির তুলনায় ওটসে অ্যালার্জি তুলনামূলকভাবে কম। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ওটস খেলে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। এমনকি হালকা ত্বকের জ্বালা থেকে আরও গুরুতর অ্যালার্জি পর্যন্ত হতে পারে। তাই ডায়েটে ওটস যোগ করার আগে অ্যালার্জি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস বাড়ায় যেসব কাজ
(৫) প্রক্রিয়াজাত ওটসের অপকারিতা: ইনস্ট্যান্ট ওটস ও স্বাদযুক্ত ওটমিল প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এগুলোতে শর্করা, কৃত্রিম স্বাদ ও প্রিজারভেটিভ দিয়ে ভরা থাকে। ওটসের এ অত্যাধিক প্রক্রিয়াজাত সংস্করণগুলো স্বাস্থ্যের সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে সামগ্রিকভাবে একটি অস্বাস্থ্যকর খাবার হয়ে উঠতে পারে। তাই কম প্রক্রিয়াজাত প্লেইন ওটস বেছে নিন। সাথে স্বাস্থ্যকর ফল ও মধু ইত্যাদি যোগ করে খেতে পারেন।
সান নিউজ/এনজে