শীতকাল আমরা সবাই কেমন যেন একটু স্থির হয়ে যাই। দৌড় ঝাঁপও একটু কমে যায়। তাই শীতকালে সহজে হজম হয় ও শরীরে চর্বি জমবে না এমন খাবার খাওয়া উচিত।শীতকালে কিছু কিছু খাবার খেলে ভালো আর কিছু খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
গরম কফি: শীতকালে মগে ধোঁয়া উঠানো গরম এক মগ কফি,যেন অমৃত।গরমকালের তুলনায় শীতকালে মানুষ কম পানি পান করে । তাই এই সময় কফি খেলে শরীরে পানি স্বল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে । কারণ কফি ক্যাফেইন সমৃদ্ধ যা শরীরে পানি স্বল্পতার সৃষ্টি করে। আর কফি বা চা খাওয়া হলেও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে মনে করে।
টমেটো:
টমেটো শীতকালের সবজি। শীতকালে টমেটো দেখতে সুন্দর লাল টসটসে হলেও এর স্বাদ হয় ঠিক বিপরীত।আর টমেটো খেতে ও হবে পরিমান মতো ,নয়ত শরীর-স্বাস্থ গড়বড় হতে পারে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর টমেটোতে আছে অনেক গুণ। এতে রয়েছে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন। গরমকালের শেষের দিকে যে টমেটো পাওয়া যায় তা বেশ সুস্বাদু। । তাই টমেটো শীতকালে না খেয়ে বরং গরমকালেই খাওয়া ভালো।
বেইক করা খাবার: শীতকালে স্যাচুরেইটেড ফ্যাট ধীর গতিতে হজম হয়। ফলে চর্বি জমতে থাকে। এই সময় শারীরিক পরিশ্রম কম হয়, বেইক করা খাবার স্যাচুরেইটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ যা হজম হতে সময় লাগে। তাই এই ঋতুতে বেইক করা খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
মরিচ: শীত ঋতুতে অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া বাদ দিতে হবে। শীত থেকে উষ্ণ রাখবে এমন খাবার খেতে হবে। ঝাল মরিচের বদলে গোল মরিচ ও আদা এক্ষেত্রে উপকারী।ঝাল খাবার পেটের জন্য মোটেও উপকারী নয়।
প্যাকেটজাত সবজি: আধুনিক সময়ে জীবনেকে সহজ করতে অনেক কিছুই করছি আমরা। সবজি আগে থেকেই বেছে রেখে দিচ্ছি, যাতে সহজেই রান্না করতে পারি।কিন্তু সবজি কেটে রাখলে এর পুষ্টিগুণ অক্ষুণ থাকে না। তাই জীবন বাজারে কিনে রাখা সবজি না ব্যবহার করাই ভালো