লাইফস্টাইল ডেস্ক: শরীরে পানি শূন্যতা ঠেকাতে একটি কার্যকর উপায় হলো খাবার স্যালাইন। ডায়রিয়া, প্রচুর বমি বা ঘাম হলে শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। এ অবস্থায় খাবার স্যালাইন পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করে শরীরে বাড়তি শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: পেয়ারার জ্যামের রেসিপি
অনেকে স্যালাইন মেশানো পানি খেতে পারেন না, বিশেষ করে শিশুরা। স্যালাইন খেতে না পারলে তাদের বিকল্প কিছু দিয়ে স্যালাইনের অভাব পূরণ করতে হবে।
জেনে নিন স্যালাইনের বিকল্প যা খেতে পারেন-
(১) ডাবের পানি:
ডাবের পানি শরীরে পানির ঘাটতি কমাতে বেশ কার্যকর। সেই সাথে এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট কম্পোজিশন ডায়রিয়া, বমি ও অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজের ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ডাবের পানি রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন ও পাইরিডক্সিনের মতো উপকারী উপাদানে ভরপুর।
(২) চিড়ার পানি:
ডায়রিয়া ও আমাশয় হলে চিড়া ভেজানো পানি বেশ উপকারী। চিড়ার পানি ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সের একটি ভালো উত্স। চিড়া ভেজালে এটি প্রায় ৪ গুণ বেড়ে যায়। ১০০ গ্রাম চিড়ায় আছে ৩৪৬ ক্যালরি, ৬.৬ গ্রাম আমিষ, ৭৭.৩ গ্রাম শর্করা, ২.০২ মিলিগ্রাম লোহা ও ২৩৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস। চিড়ায় আঁশের পরিমাণ কম থাকে বলে অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে উপকারী। তাই খাওয়ার আগে চিড়া ধুয়ে নিন। ৩ বার ধোয়ার পর আবার কিছুটা পানি ভিজিয়ে নিন। এরপর স্বাদ মতো লবণ ও চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: নারকেল দিয়ে কাতলা রেসিপি
(৩) ভাতের মাড়:
ভাতের মাড়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতের মাড়ে ভিটামিন-বি ও ভিটামিন-ই রয়েছে। এতে শর্করা, আয়রন, ফসফরাস ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে। ভাতের মাড়ে রয়েছে ৪ গুণ ক্যালসিয়াম, ১২ গুণ ম্যাঙ্গানিজ ও ২ গুণ মেলানিয়াম। এছাড়া রয়েছে টোকোট্রিনল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান। অল্প হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে খেলে শরীরের পানি শূন্যতা কমে যাবে।
(৪) কাঁচকলার স্যুপ:
কাঁচকলায় আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি-৬ ও ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট। এতে স্টার্চ হিসেবে থাকে কার্বোহাইড্রেট কমপ্লেক্স। কাঁচকলার ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এ জন্য রোগীর পথ্য হিসেবে কাঁচকলা বেশ পরিচিত। কাঁচকলা পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
আরও পড়ুন: সুজির গোলাপজামের রেসিপি
(৫) পিংক সল্ট:
পিংক সল্ট হিমালয় পর্বত থেকে তৈরি হয়ে থাকে। উত্পাদিত অঞ্চলে লবণটি হোয়াইট গোল্ড নামেও পরিচিত। হিমালয়ান সল্ট প্রধানত সোডিয়াম ক্লোরাইড দিয়ে গঠিত। এতে রয়েছে সালফেট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক, সেলেনিয়াম, আয়োডিন, ফ্লোরাইডসহ প্রায় ৮০ টির মতো উপাদান। এ লবণের খনিজ উপাদানগুলো মানুষের শরীরের কোষে খুব সহজে শোষিত হতে পারে। তবে দিনে বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পিংক সল্ট চিকিত্সক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। মাল্টা বা কমলার রসের সাথে এক চিমটি পিংক সল্ট মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাবেন।
সান নিউজ/এনজে