লাইফস্টাইল ডেস্ক: আচার শব্দটি শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। আপনাদের নিশ্চয়ই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে? আমরা প্রায় সবাই মা-চাচিদের শুকাতে দেওয়া আচার চুরি করে খেয়েছি।
আরও পড়ুন: তালের পুষ্টিগুণ
প্রিয়জনের জন্য ভালোবেসে আচার তৈরি করে রাখা, প্রিয় কোনো খাবারের সাথে একটুখানি আচার মিশিয়ে খাওয়া, আমাদের কত স্মৃতি জড়িয়ে থাকে আচার শব্দটির সাথে। আমাদের দেশে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে নানা ধরনের আচার তৈরি হয়। মুখের রুচি বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে এসব আচার।
মুলত বেশিরভাগ আচারই তৈরি হয় টক স্বাদের বিভিন্ন ফল দিয়ে। বৃষ্টির দিনে গরম খিচুড়ির সাথে একটুখানি আচার বা অসুখের কারণে কারো মুখের রুচি চলে গেলে তাকে আচার খেতে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: থানকুনি পাতার ৫ উপকারিতা
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে আচার আমরা খাই, এটি কি উপকারী? নাকি কেবল স্বাদের কারণেই খেয়ে থাকি? জেনে অবাক হবেন, শুধু স্বাদ নয়, আচার শরীরের জন্য অনেক উপকারীও। জেনে নিন আচার খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা-
আচার তৈরি করার সময় তেল বা ভিনেগার দেওয়া হয়। ফল বা সবজির আচার তৈরির ক্ষেত্রে তেল বা ভিনেগারের সাথে বিক্রিয়া করে ল্যাকটিক, সাইট্রিক ও অ্যাসেটিক তৈরি করে। এই ৩ অ্যাসিডই শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন ভালো থাকে যেসব খাবার
এ উপাদানগুলো শরীরের মধ্যে উপকারী মাইক্রোবসদের আরো সক্রিয় ও শক্তিশালী করে তোলে। ফলে আচার খেলে হজমশক্তি বাড়ে, মেটাবলিজম ভালো হয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
আচারে থাকে প্রচুর পুষ্টি। সেসব পুষ্টি সহজেই ভেঙে দিতে পারে ফ্যাটকে। আচার তৈরির সময় যেসব মসলা ব্যবহার করা হয়, তা আমাদের হজমে সাহায্য করে। সেই সাথে খুব দ্রুত চর্বিও ভেঙে দিতে পারে। যে কারণে ভাত, খিচুড়ি, রুটি বা পরোটার সাথে আচার খেলে মুখের রুচিও ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
আচার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আচারে থাকে উপকারী প্রোবায়োটিক। এই প্রোবায়োটিক খাবার হজম করতে সাহায্য করে। আচারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাকটেরিয়াও থাকে। তাই ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতে কাজ করে এই আচার।
যারা প্রায় সময়ই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য আচার হতে পারে উপকারী একটি খাবার। তবে শুধু শরীর নয়, মন ভালো রাখতেও দারুণভাবে কাজ করে এই খাবারটি।
আরও পড়ুন: বেগুনের গুণ
আপনার যদি মাঝেমাঝেই মন খারাপ হয়, তাহলে একটুখানি আচার খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত আচার খেলে মন ভালো থাকে। এছাড়া কর্মে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার জন্যও নিয়মিত আচার খেতে পারেন।
সান নিউজ/এমএ/এনজে