লাইফস্টাইল ডেস্ক: কিডনি একদিনে নষ্ট হয় না। ধীরে ধীরে নষ্ট হওয়ার দিকে এগিয়ে যায়। সাভাবিক কিছু লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে আমাদের কিডনী আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেয়ারা খেলে যা হয়
কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি ছাড়া বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। এছাড়াও অনেক ক্ষতিকর অভ্যাস এটি নষ্ট করতে পারে। কিছু কিছু খাদ্য ও পানীয়ের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জিনিস থাকে, যা কিডনিকে সম্পূর্ণরূপে ফিল্টার করতে পারে না। তখন কিডনি নষ্ট হতে শুরু করে।
১) পা ফোলা
কোনো কারণ ছাড়া মাাঝে মাঝেই পায়ে ফোলাভাব হলে সতর্ক হতে হবে। কিডনি নষ্ট হওয়ার লক্ষণও হতে পারে তা। কিডনি ফেইলিওরের ফলে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়,তখন এর প্রভাব পড়ে পায়ে। পায়ে ফোলাভাব দেখা দিলে তা অবহেলা করা উচিত না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বয়স ধরে রাখে যে ৩ বাদাম
২) ক্ষুধা কমে যাওয়া
নানা কারণে ক্ষুধা কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এটি হতে পারে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। পেটের ভেতরের বর্জ্য পদার্থ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থে ভর্তি থাকে। এ রকম অবস্থায় বমি হতে পারে ও ক্ষুধার অনুভূতি কমে যায়। সেইসাথে পেটে ব্যথাও হতে পারে।
৩) হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
কিডনিতে সমস্যা হলে টক্সিন জমতে পারে মস্তিষ্কে। এমন পরিস্থিতিতে কাজের প্রতি আগ্রহ কমতে থাকে। হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি। হতে পারে কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার লক্ষণ এটি।
আরও পড়ুন: থানকুনি পাতার ৫ উপকারিতা
৪) শ্বাসকষ্ট
শুধুমাত্র হার্টের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্ট হয় তা নয়, কিডনি যদি সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ করতে না পারে তখন তা ফুসফুসেও প্রবেশ করতে পারে। সেসব বর্জ্য পদার্থ ফুসফুসে জমতে শুরু করলে ফুসফুস ফুলে ওঠে ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ত্বকের নিচে বর্জ্য পদার্থ জমতে শুরু করলে ত্বকে ফুসকুড়ি, জ্বালা ও চুলকানি দেখা দেয়। কিডনির সমস্যা ত্বকেও প্রভাব ফেলে।
৫) প্রস্রাবে সমস্যা
কিডনির সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হতে পারে প্রস্রাবের সমস্যা। কিডনি সরাসরি প্রস্রাবের সাথে সম্পর্কিত। প্রস্রাবের মাধ্যমে কিডনি শরীর থেকে সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ বের করে। কিডনি নষ্ট হতে শুরু করলে প্রস্রাবের পরিমাণ, রং ও গন্ধে পরিবর্তন আসে। তখন সব প্রোটিন প্রস্রাব থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। যে কারণে প্রস্রাবে ফেনা হতে শুরু করে। এ জাতীয় লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হোন। দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
সান নিউজ/এএ