লাইফ স্টাইল ডেস্ক: যুগযুগ ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে, সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে! তবে সংসার সুখের করতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ভূমিকা থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন
সংসার জীবনে সুখ পেতে দুজনেরই দায়িত্বশীল হতে হয়। তা না হলে সংসারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। স্বামী-স্ত্রীর এমন অনেক অভ্যাস রয়েছে যা বিবাহিত দম্পতির মধ্যে থাকলে সংসারে অশান্তি নেমে আসতে পারে।
তাই সুস্থ থাকতে ও দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক ভালো রাখতে নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস পরিত্যাগ করা খুবই প্রয়োজন।
তাহলে জেনে নিন অভ্যাসগুলো কী কী-
আরও পড়ুন: মনমোহিনী চিংড়ি রেসিপি
১) চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ:
প্রক্রিয়াজাত বাহিরের খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে তা নারী ও পুরুষের উর্বরতাকে প্রভাবিত করতে পারে। শুধু তাই নয়, এর কারণে আমাদের দেহ ও মন নানা সমস্যার শিকার হতে পারে। এসব খাবার শুধু সুস্বাদুই বটে, এগুলোর মধ্যে কোনো পুষ্টিগুণ নেই। এটি হৃদরোগের জন্যও বিপদজনক হতে পারে।
২) ধূমপান:
পৃথিবীর সব খারাপ নেশার মধ্যে ধূমপান সবচেয়ে খারাপ। এটি শুধু আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যই খারাপ নয়, এর ফলে শরীরের ছোট ও পাতলা শিরাগুলোও সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে ধূমপান পুরুষত্বহীনতার কারণ হতে পারে। যার কারণে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় এবং শুক্রাণুর গুণগত মানও কমতে থাকে। আর নারীর ক্ষেত্রে, এটি ডিম্বানুর গুণমান নষ্ট করে।
আরও পড়ুন: পটেটো ইমোজি তৈরির রেসিপি
৩) শরীরচর্চা না করা:
পরিশ্রমী না হলে ও কঠোর পরিশ্রম না করলে শরীরে টেস্টোস্টেরন উৎপাদনও অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অধিক থাকে। ঠিক একইভাবে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে নারীর শরীরও সুস্থ থাকে এমনকি অতিরিক্ত ওজনও কমে।
৪) ঠিকমতো না ঘুমনো:
বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা কমতে শুরু করে। যা পুরুষের টেস্টোস্টেরনকে প্রভাবিত করে। ফলে পুরুষদের যৌন ইচ্ছা ও ক্ষমতা উভয়ই কমতে শুরু করে।
টেস্টোস্টেরন একটি পুরুষ যৌন হরমোন, যা তার পুরুষত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। পর্যাপ্ত ঘুমসহ অনিয়মিত জীবন-যাপনের কারণে এই হরমোনের উৎপাদন কমতে শুরু করে। তাই পুরুষদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আদা দীর্ঘদিন টাটকা রাখার উপায়
৫) দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকা:
মানুষ সব সময় অফিস-বাড়ি-পরিবার ও নিজেকে নিয়ে চিন্তিত থাকে। মানসিক চাপের কারণে, কর্টিসল বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ও টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়। ফলে পুরুষদের অকাল বীর্যপাত শুরু হয় এবং তারা পুরুষত্বহীনও হতে পারে।
একইভাবে নারীদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা মানসিক ব্যাধির কারণ হতে পারে। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করা জরুরি। তাহলে মানসিক অবস্থাও ভালো থাকবে আর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও সম্পর্কও হবে সুন্দর। সূত্র: প্রেসওয়্যার১৮
সান নিউজ/এইচএন