লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রতিদিন ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেইসাথে ঋতু পরিবর্তনের কারণে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপও বাড়ছে। তাই সব জ্বরকে ভাইরাস জ্বর বলে অবহেলা করা যাবে না। এমনও হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরীদের গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ কেন?
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৪১৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৬২ জন, ঢাকার বাইরের ১ হাজার ২৫৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
প্রত্যেক বছর এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে প্রায় ১০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়। ডেঙ্গু ও ভাইরাস জ্বরের ভেতর সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। তাই ডেঙ্গুর উপসর্গগুলো জানা প্রয়োজন।
ডেঙ্গুতে জ্বরের মাত্রা অনেক বেশি হয়। প্রায় ১০৪ ফারেনহাইট জ্বর উঠে। ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত এই জ্বর স্থায়ী হয়। জ্বর বাদেও মাথাব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা,গাঁটে ব্যথা,ডায়ারিয়া,বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: কেন মানুষ বিয়ে করে?
শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়,গায়ে র্যাশ উঠতে শুরু করে। তাছাড়া মাড়ি,নাক দিয়ে রক্তপাত,গলাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
অবস্থার খুব বেশি অবনতি না হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে, বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাই ভালো।
পেটে ব্যথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, মাড়ি, নাক বা প্রস্রাবের সাথে রক্তপাত, ত্বকে লাল র্যাশ, শ্বাসকষ্ট উল্লেখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্লাটিলেট বাড়াতে যা খাবেন
ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম তৈরি হলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তখন পালস রেট বেড়ে যায় ও রক্তচাপ কমে যায়। এতে করে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এবং দেহে অস্বস্তি তৈরি হয়। এমন হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
এই জ্বরের জন্য নির্ধারিত কোন ওষুধ নেই। ডাক্তাররা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাবার পরামর্শ দেন। এ সময় শরীরকে পানিশূন্য হতে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: মেথির গুণাগুণ
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, তরল জাতীয় যেমন ডাবের পানি, ফলের রস, স্যুপ, চিকেন সুপ এ জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।
সান নিউজ/এএ/এইচএন