লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের শরীরের জন্য ‘ভিটামিন ডি’ একটি অপরিহার্য উপাদান। এই ভিটামিন ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে, যা শক্তিশালী হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও পেশী শিথিল রাখতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : রেগে গেলে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের মধ্যে বার্তা বহন করার জন্য স্নায়ুগুলোর ভিটামিন ডি দরকার। সেই সাথে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য এই ভিটামিন অপরিহার্য।
ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। সূর্যের সংস্পর্শে এলে আমাদের ত্বক ও শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন : টমেটোর অপকারিতা
সূর্যের আলো না থাকলে যা হবে :
বর্ষা মৌসুমে সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসা আমাদের জন্য বেশ কঠিন। কিন্তু আমাদের শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। চলুন উপায়গুলো জেনে আসি :
খাদ্য:-
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি রাখা যেতে পারে। যেমন- ফ্যাটি মাছ ট্রাউট, স্যামন, টুনা এবং ম্যাকেরেল, মাছের লিভার তেল ইত্যাদি। সেই সাথে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডিসহ অন্যান্য খাদ্য- ডিমের কুসুম, মাশরুম এবং পনির রাখতে পারেন। মাশরুমে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও গরুর দুধ, উদ্ভিদভিত্তিক দুধ, কমলার রস ও দইয়ে ভিটামিন ডি পাবেন। এসব খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কিছুটা পূরণ করা সম্ভব।
সাপ্লিমেন্ট:-
সব সময় গ্রহণকৃত খাবারে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয় না। শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। ভিটামিন ডি মূলত চর্বি দ্রবণীয়। চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে খেলে এটি ভালোভাবে শোষিত হয়।
আরও পড়ুন : শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে করণীয়
কখন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন :
বেশির ভাগ সময় প্রয়োজন আছে কি না, তা না জেনেই অনেকে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি আছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। তাই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটা কতদিন পর্যন্ত এবং কতগুলো খেতে হবে, তা ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ ক্ষতিকর হতে পারে।
ভিটামিন ডি কীভাবে ক্ষতিকর :
অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ ক্ষতিকর হতে পারে। রক্তে ভিটামিন ডি-এর উচ্চ মাত্রার কারণে বমি ভাব, বমি, পেশী দুর্বলতা, মাথাঘোরা, ব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস, ডিহাইড্রেশন, অত্যধিক প্রস্রাব, অতিরিক্ত তৃষ্ণা এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং এসব বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
সান নিউজ/ এএ/এনজে