লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানবদেহের বিভিন্ন কার্য সম্পাদনে ভিটামিন ডি এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন বলে শেষ করা যাবে না। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখা। মানসিক সুস্থতার জন্যও এটি খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে শরীরে নানা উপসর্গ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন : গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া নিরাপদ
আর তাই আমাদের শরীরে কখন এর অভাব হয় এবং কীভাবে শরীরে ভিটামিন ডি এর মাত্রা পূরণ করা যায় তা জানা অপরিহার্য। জেনে নিন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে যেগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব আছে কিনা।
বিষণ্ণতা
বিষণ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি। এর ফলে সারাক্ষণ মানসিক চাপ অনুভূত হয়। তখন কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। এর অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। ফলে মানুষ এমনি এমনি রেগে যায়। বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ জার্নালে প্রকাশিত A 2020 পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে হতাশা ও বিষণ্ণতা বেড়ে যায়।
নিদ্রাহীনতা
ক্যালসিফেরলের মাত্রা কম হলে তা আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ এই ভিটামিনের অভাব স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে আপনি বেশিরভাগ সময়েই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ভিটামিন ডি-এর অভাব ঘুম কমিয়ে দেওয়া, রাত জেগে থাকাসহ ঘুম সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন : মাছের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
চুল পড়া
ভিটামিন ডি চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করতে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ভিটামিনের অভাবে চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং এটি চুলের ব্যাপক ক্ষতিও ঘটায়। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে তা নতুন চুল গজাতেও বাধা দেয়।
হাড়ে ব্যথা
এটি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের মধ্যে একটি হলো হাড়ে ব্যথা হওয়া। ভিটামিন ডি কম থাকার কারণে, হাড়ে ব্যথা অনুভব হয়। সেইসঙ্গে পেশীতে দুর্বলতা, হাড়ের ক্ষয়ও দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে আপনি টানা হাঁটতেও পারবেন না, একটুতেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন : বর্ষায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া
ঘন ঘন অসুস্থতার ঘটনা ঘটে থাকলে সতর্ক হোন, কারণ এটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির লক্ষণ। আমাদের ইমিউন সিস্টেমে ভিটামিন ডি এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই এই ভিটামিনের অভাব শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণুর সংস্পর্শে নিয়ে আসে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, যাদের ভিটামিন ডি কম থাকে তাদের সর্দি, হাঁপানি এবং ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।
মাংসপেশির দুর্বলতা
ভিটামিন ডি-এর অভাবে মাংসপেশীর দুর্বলতা বেড়ে যায়। বিশেষ করে মাংসপেশি বেড়ে যাওয়া এবং মাংসপেশি কাঁপার মতো সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। কাজেই মাংসপেশির দুর্বলতা কাটাতে নিয়মিত ভিটামিন ডি খান।
সান নিউজ/জেএইচ