লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়েই বিপুল জনপ্রিয় একটি ফাস্টফুড হলো বার্গার। দুই দিকে দুই প্রস্থ রুটি। মাঝখানে চিজ, মেয়নেজ, টমেটোর ফালি ও লেটুসপাতার সঙ্গে মসলা দেওয়া মাংসের কিমা। বিশাল এক হাঁ করে তাতে যখন কামড় বসাচ্ছেন, মনে হয় যেন এর চেয়ে সুস্বাদু খাবার আর হয় না। ছোট-বড় সবাই খেতে পছন্দ করেন মুখোরোচক এই খাবার।
আরও পড়ুন : বাঁচতে হলে হাসতে হবে!
আজ ২৮ মে, আন্তর্জাতিক বার্গার দিবস। হালে খাবারটি বার্গার নামে পরিচিত হলেও এর আসল নাম কিন্তু আরেকটু বড়—হামবার্গার। আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন, হ্যামবার্গার আমেরিকান ফাস্ট ফুডের একটি প্রতীক। তবে এর উৎপত্তিস্থল কোথায় সেই তথ্য অস্পষ্ট।
হামবার্গার শব্দটির উৎপত্তি জার্মানির শহর হামবুর্গ থেকে। একসময় প্রচুর জার্মান নাগরিক অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাত। তাদের বলা হতো ‘হামবার্গার’; যেমন লন্ডন থেকে আগত ব্যক্তিদের বলা হতো ‘লন্ডনার’। এই অভিবাসীদের তৈরি রেসিপিই গোটা যুক্তরাষ্ট্রে একসময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন : চিরতরুণ থাকতে যেসব খাবার খাবেন
কিছু ইতিহাসবিদদের মতে, হ্যামবার্গার ১৯০০ সালে ডেনিশ অভিবাসী লুই ল্যাসেন দ্বারা নিউ হ্যাভেনে তৈরি করা হয়েছিল। আরেকটি সংস্করণ হলো, এটি বিশ্ব মেলায় তৈরি করা হয়েছিল ১৯০৪ সালে সেন্ট লুই ফুড ফেস্টিভ্যালে।
বলা হয়, একজন ব্যবসায়ী ক্ষুধার্ত ছিলেন ও তার দ্রুত খাবার প্রয়োজন ছিল। কথিত আছে, লুই দুই টুকরো রুটির মধ্যে গ্রিলড গরুর মাংস স্যান্ডউইচ করে বার্গারটি তৈরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন : কোমর ও পিঠ ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
হ্যামবার্গার তৈরির জন্য কৃতিত্বপ্রাপ্ত আরেক ব্যক্তি হলেন অটো ক্রাউস। তবে জনপ্রিয় এই খাবারের উদ্ভাবক কে তা নিয়ে এখনো বিতর্ক আছে।
তবে ১৭৫৮ সালে হ্যামবার্গার সসেজের রেসিপি প্রথমবারের মতো একটি কুকবুকে পাওয়া যায়। ১৯০৪ সালের বিশ্ব মেলার পরে বার্গার আরও জনপ্রিয় ও সস্তা ফাস্টফুড হয়ে ওঠে।
সান নিউজ/জেএইচ