লাইফস্টাইল ডেস্ক: গ্রীষ্মের ফলের বাজার এখন কাঁচা আমে ভরপুর। গরমের এ সময়টায় অনেকেই মুখরোচক ভর্তা হিসেবে কাঁচা আমের ভর্তা খেতে ভালোবাসেন। খাদ্যগুণে পাকা আমের সঙ্গেও টক্কর দিতে পারে কাঁচা আম।
আরও পড়ুন: গাছপাকা আম চেনার উপায়
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কাঁচা আমের কিছু উপকারীতা-
শরীর ঠাণ্ডা রাখে: কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয় ।
রক্তের সমস্যা দূর করে: কাঁচা আমে আয়রন বা লৌহ থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।
হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে হিট স্ট্রোক থেকে রেহাই পেতে কাঁচা আমের জুস করে খেয়ে নিন। এতে শরীরের পানিশূন্যতা কমবে এবং তৃষ্ণা মেটাবে। পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি দূর হবে।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা পানি কি ক্ষতিকর?
ঘামাচি প্রতিরোধ করে: কাঁচা আমের সঙ্গে চিনি, জিরা ও একটু লবণ মিশিয়ে সেদ্ধ করে জুস করে খেলে তা ঘামাচি রোধ করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: কাঁচা আমে ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং চিনিও কম থাকে। যারা ওজন কমাতে চান তারা ডায়েটে রাখতে পারেন কাঁচা আম।
ঝিমুনি দূর করে: দুপুরে খাওয়ার পর এই গরমে কিছুটা ঝিমুনি ভাব দেখা দিতে পারে। কয়েক টুকরা কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি দূর হয়।
শরীরে লবণের ঘাটতি দূর করে: গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আমের জুস শরীরের এই ঘাটতি দূর করতে পারে সহজেই।
আরও পড়ুন: কাঁচা আমের লাচ্ছি তৈরির রেসিপি
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে কাঁচা আমে। এই সব উপাদান শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ রাখে: কাঁচা আম ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে।
চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করে: কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
সান নিউজ/আর