লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরমের সময় অন্যতম একটি বড় সমস্যা ঘামাচি। এটি এক ধরনের চর্মরোগ। দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে ঘামাচি হয়। এতে চুলকানি ও লাল দানার পাশাপাশি এগুলো অনেক সময় জ্বালা করে এবং ত্বকও লাল হয়ে যায়। কাপড় পরে শান্তি পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন : টি-শার্টের ‘টি’ এর অর্থ
ঘামাচি রোগটি আকারে ও প্রকারে ছোট হলেও খুব অস্বস্তিকর একটি রোগ। ঘামাচি থেকে দূরে থাকতে সবচেয়ে জরুরি নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। এছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগেও সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে আপনি জানতে পারবেন ঘামাচি দূরে রাখার কিছু ঘরোয় উপায়।
অ্যালোভেরা : ঘামাচি তাড়াতে অ্যালোভেরা ভালো কাজ করে। ঘামাচির ওপর শুধু অ্যালোভেরার রস বা হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নিমপাতা : ঘামাচি তাড়াতে নিমপাতা এক দারুণ প্রাকৃতিক দাওয়াই। গোলাপজলমিশ্রিত নিমপাতার রস ঘামাচির ওপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়।
বরফ : ঘামাচিতে উপকার পেতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো যে সব স্থানে ঘামাচি আছে, সেখানে বরফ ঘষা। ঠাণ্ডা পানিও ভালো আরাম দেয় ঘামাচিতে।
আরও পড়ুন : ডিম যেভাবে খাওয়া স্বাস্থ্যকর
চন্দন : ত্বকের জন্য চন্দন কতটা উপকারি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ব়্যাশ, ব্রণ, ঘামাচির মতো সমস্যা চন্দন দূর করতে পারে। গোলাপজলে চন্দন পাউডার মিশিয়ে ঘামাচির জায়গায় লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
মুলতানি মাটি : ত্বক ও চুলের যত্নে মুলতানি মাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে এটি চর্মরোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও কার্যকর। মুলতানি মাটি গোলাপজল দিয়ে পেস্ট করে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন : এসি কেনার আগে খেয়াল রাখবেন
বেকিং সোডা : ঘামাচি দূর করায় বেকিং সোডাও বেশ উপকারী। ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর হাত দিয়ে ধীরে ধীরে মুছে নিন।
একটা বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন, আমাদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। নখ দিয়ে ঘামাচি চুলকাবেন না। সমস্যা বাড়লে নিজে নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
সান নিউজ/জেএইচ