লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রচণ্ড গরমে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ঘামের ফলে শরীর থেকে অনেক তরল বেরিয়ে যায়। তাই ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হয়।
আরও পড়ুন : রোজায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা
ঘাম হওয়ার পর কাজ করার শক্তি থাকে না বললেই চলে। তাই এ সময় খাবারের দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। যাতে খাবারের মাধ্যমে শরীরে কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়।
গরমের সময় এমন কিছু খাবার খেতে হবে, যা শরীর ঠাণ্ডা রাখবে। সেই সাথে পুষ্টিও জোগাবে।
আরও পড়ুন : দাঁতের ক্যাভিটি থেকে মুক্তির উপায়
জেনে নিন গরমে যেসব খাবার খেলে শরীর চাঙ্গা ও ফুরফুরে থাকবে-
(১) ভিটামিন সি : এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও উপকারী। এই ভিটামিন ত্বক সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে আমাদের ত্বক সবচেয়ে বেশি অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসে। এই রশ্মি ফ্রি র্যাডিক্যাল উৎপাদন এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়াতে পারে। ভিটামিন সি ফ্রি র্যাডিক্যাল নিষ্ক্রিয় করে এবং ত্বকের ক্ষতি হতে দেয় না। কমলালেবু, পাতিলেবু, বাতাবি লেবু, টমেটো, আলু, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, পেঁপে এসব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : গরুর মাংসের পাতলা ঝোল রান্নার রেসিপি
(২) ম্যাগনেশিয়াম : পেশি সুস্থ রাখতে ও স্নায়ুর কার্যকারিতা ঠিক রাখার জন্য ম্যাগনেশিয়াম অপরিহার্য। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ইমিউনিটি শক্তিশালী করে তোলে। এ সময় প্রচুর ঘাম হয়। ফলে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম এক ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট। এটি আমাদের শরীরে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিয়া বীজ, পালং শাক, কাজু বাদাম, চিনা বাদাম ও দুধ ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
(৩) পটাশিয়াম : পটাশিয়াম শরীরে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি সুস্থ পেশি ও স্নায়ু কার্যকারিতা উন্নত করে। গরমকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পটাশিয়াম বেরিয়ে যায়। ফলে পেশিতে খিঁচুনি, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব হয়। শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট পূরণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই খান। বিনস, মসুর ডাল, ব্রকোলি, অ্যাভোকাডো, কলা, কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।
আরও পড়ুন : ফের বিদ্যুৎ রফতানির পথে ইউক্রেন
(৪) জিঙ্ক : ইমিউনিটি বাড়াতে ও ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে জিঙ্ক। রোগ প্রতিরোধ করতে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক গ্রহণ করা উচিত। দই, কাজুবাদাম, বাদাম, শস্যদানা, কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।
(৫) প্রোটিন : হাড়, হরমোন ও অ্যান্টিবডিসহ শরীরের প্রতিটি কোষ প্রোটিন থেকে তৈরি। তাই শরীরের প্রতিটি কোষের প্রোটিন খুবই প্রয়োজন। শারীরিক বৃদ্ধির জন্যও প্রোটিন অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, ডাল, বীজ এবং বাদাম প্রোটিনে ভরপুর। তাই এসব খাবার অবশ্যই রাখুন ডায়েটে।
আরও পড়ুন : আমিরাতে টিকটক করে ৫ প্রবাসী গ্রেফতার
এছাড়া সারা দিনে প্রচুর পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি পানি পানের ফলে হজমও ভালো হয় এবং ত্বকও ভালো রাখে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। সেই সাথে তরমুজ ও শসা নিয়মিত খান।
সান নিউজ/এনজে