লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিমকে বলা হয় পুস্টি উপাদানের পাওয়ার হাউস। সহজলভ্য এবং সবার কাছে জনপ্রিয় একটি খাবার ডিম। সকালের খাবার থেকে শুরু করে ঝটপট যে কোনো নাস্তার মেন্যুতেই থাকে এই খাবারটি। তবে ঠিক কী ভাবে ডিম খেলে তার পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন থাকে অনেকেরই সেটি অজানা। তাই জেনে নিন ঠিক কোনপদ্ধতিতে ডিম খেলে তার থেকে পূর্ণ পুষ্টিগুণ মিলবে -
পোচ : ভাজা বা বেকিং এর তুলনায় ডিম পোচ কম চর্বি এবং কম ক্যালোরি সুবিধার। কারণ ডিম পোচে কম তাপ ও কম তেল যোগ করতে হয়। স্বাস্থ্যকর ও দ্বিতীয় সেরা পুষ্টিমান পেতে এভাবে ডিম খেতে পারেন।
আরও পড়ুন : পেঁপে খাওয়ার ৫ উপকারিতা
হাফ বয়েল : ডিমের বাইরের সাদা অংশ সুসিদ্ধ হলেও ভিতরের কুসুম আধসিদ্ধ, এমন ডিমকেই স্বাস্থ্যকর বলে দাবি চিকিৎসকদের। আগুনের আঁচ ডিমের ভিতর থাকা ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফেলে সঙ্গে কুসুমের ভিতর থাকা সবটুকু পিুষ্টিগুণকেই আগলে রাখে। ফুটন্ত নুনজলে মিনিট পাঁচেক সেদ্ধ করলেই এমন হাফ বয়েল ডিম মিলবে সহজেই।
ফুল বয়েল : একটি গোটা সেদ্ধ ডিম থেকে প্রায ১২.৬ গ্রাম প্রোটিন মেলে। এমন ফুল বয়েলড ডিম যেমন শুধুই খাওয়া যায়, তেমনই স্যালাড হোক বা স্যান্ডউইচ, সব কিছুতেই সঙ্গত করতে পারে এটি। ডিমের সব ধরনের পদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হজম হয় এমন ডিম। নুনজলে মিনিট দশেক সময় নিয়ে ফোটালেই তৈরি সেদ্ধ ডিম।
আরও পড়ুন : পাকা কলা দীর্ঘদিন সতেজ রাখুন
স্ক্রাম্বল : ডিমের স্ক্রাম্বল তৈরির ক্ষেত্রে দুধের পরিবর্তে পানি ব্যবহার করুন। এ উপায়ে সেদ্ধ ডিমের মতো একই পরিমাণ চর্বি, কোলেস্টেরল এবং ক্যালোরি বজায় থাকে। আপনি যদি আরো ক্যালোরি কমাতে চান তাহলে কুসুম বাদ দিয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করুন।
ভাজা : ডিম ভাজায় অনেক বেশি তাপের প্রয়োজন হয়, যা ডিমের রাসায়নিক রচন প্রভাবিত করে পুষ্টিগুণ কমায়। পুষ্টিগুণ পেতে নন-স্টিক প্যানে ডিম ভাজুন অথবা শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করতে নারকেল তেল দিয়ে ভাজুন।
আরও পড়ুন : কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা
কাঁচা : তাপ দিয়ে ডিম সেদ্ধ বা রান্ন করলে কুসুমে থাকা পুষ্টির উপাদান কমতে পারে, তাই আপনি যদি হজমে সক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে ডিম কাঁচা খেতে পারেন। এটা আপনাকে আরো বেশি শক্তিশালী করবে। তবে কাঁচা ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। সালমোনেলাযুক্ত ডিম খেলে সংক্রমণে হঠাৎ বমি, পেটের পীড়া থেকে শুরু করে টাইফয়েড পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়া সালমোনেলা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায়। হাঁস-মুরগি ডিম পাড়ার পর তা কোনো নোংরা স্থানে, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠার মধ্যে পড়ে থাকলে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া ডিমের মধ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পায়। তবে সব ডিমে সালমোনেলা থাকে না। শুধুমাত্র অপরিষ্কার স্থানে পড়ে থাকা ডিমেই এই জীবাণু থাকতে পারে।
সান নিউজ/জেএইচ