লাইফস্টাইল ডেস্ক : ফুসফুসজনিত অসুখে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। অতিরিক্ত জ্বর-কাশি, বুকে সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়ায় ফুসফুসে প্রদাহ- এসব লক্ষণ স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন: ১১ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
ভারতের বিখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাট জানান, শীত পড়তে শুরু করলেই নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। গভীরভাবে শ্বাস নেয়ার সময় বুকে ব্যথা হয়। এ সময় দ্রুত চিকিৎসা রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারে।
নিউমোনিয়া হলে ফুসফুসে বায়ুপ্রবাহের নানা জায়গায় তরল ও পুঁজ জমে। এছাড়া অনেক সময় কফও জমে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে ভাইরাস, ফাঙ্গাসের কারণে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে আরও ৯৩৬ মৃত্যু
নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি যাদের :
১) ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে
৩) ডায়াবেটিস রোগীদের
৪) হাই প্রেশার থাকলে
৫) ক্যানসারে আক্রান্ত হলে কিংবা
৬) এইচআইভি সংক্রমিতদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমে বন্দুক হামলা, নিহত ৭
একেকজনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় হলো :
১) কাশি
২) শ্বাস নিতে বুকে ব্যথা
৩) বিভ্রান্তি
৪) কাশির সঙ্গে কফ ওঠা
৫) ক্লান্তিতে ভোগা
৬) কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা
৭) শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া
৮) তীব্র শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর ১০২ ডিগ্রির বেশি, কাশির সঙ্গে পুঁজ বের হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
এছাড়া বয়স ৬৫ এর বেশি হলে ও শিশুর বয়স ২ বছরের নিচে হলে কিংবা ইমিউনিটি দুর্বল, কেমোথেরাপি চললে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সান নিউজ/এনজে/এমআর