লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতকালে এই সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকেরই সাইনাসের সমস্যা আছে। সাইনাসের কারণে শরীরে মিউকাস বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার ফলে মাথাব্যথা এবং শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে সাইনাসের সমস্যা এক মাসও চলতে পারে।
আরও পড়ুন : ভাইরাল ‘কাঁঠালের বার্গার’র রেসিপি
বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। যেমন-
মধু ও তুলসি :
সাইনাসের সমস্যা কমাতে তুলসির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর মধ্যে প্রদাহনাশক ক্ষমতা রয়েছে। তাই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা যাবে।
পানি পান :
বেশি করে পানি পান করুন। দেহে পানির অভাবে সাইনাসের সমস্যাগুলি আরও বেড়ে যায়। সাইনাসের সমস্যা কমাতে সর্বদা নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি, চিনি ছাড়া চা পান করুন। এর মাধ্যমে দেহ থেকে মিউকাস বেরিয়ে যায়।
ঠান্ডা, গরম সেক :
প্রথমে ঠান্ডা পানির সেক দিন। তারপর গরম সেক নিন। এভাবেই সাইনাসের ব্যথা দ্রুত কমবে।
আরও পড়ুন : মানসিক চাপ কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
ভাপ নিন :
সাইনাসের সমস্যা কমাতে ভাপ নেওয়া খুবই উপকারী। এক্ষেত্রে পানি গরম করুন। তারপর সেই পানির উপর মাথা কাপড় দিয়ে ঢেকে নিন। এবার নাক দিয়ে গরম বাষ্প টানুন। এই বাষ্প সরাসরি সাইনাসে পৌঁছে কফ গলে যায়। ফলে সাইনাসের যন্ত্রণাও দ্রুত কমে।
মসলা :
মসলার মধ্যে গোলমরিচ সাইনাসের জন্য খুব উপকারী। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সর্দি দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আপেল সিডার ভিনেগার এবং লেবুর রসও উপকারী হয়।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার :
অ্যাপল সিডার ভিনেগার সাইনাসে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে কাজ করে। এক কাপ গরম পানিতে ৩ টেবিল চামচ আপেল ভিনেগার দিয়ে খেলে সাইনাসের চাপ কমে যায়। লেবু ও মধুও দিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
হলুদ এবং আদা চা :
হলুদ ও আদা চা সাহায্য করে সাইনাসে। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। হলুদ এবং আদা চা মিউকাস কমাতে সহায়তা করে । এটি বন্ধ নাকও খোলে। এছাড়াও, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মেশানো আদার রস দিনে ২-৩ বার খাওয়া যেতে পারে।
সান নিউজ/এমএ/এইচএন