সান নিউজ ডেস্ক : হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চোখ ওঠার সমস্যা। বর্তমানে চোখ ওঠার সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। সাধারণত চোখের দুটি সংক্রমণ হলো স্টাইস (অঞ্জনি) ও পিঙ্ক আই বা চোখ ওঠা (কনজাংটিভাইটিস)।তবে এর জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। সাময়িক কষ্ট হলেও এটি মারাত্মক নয়। চোখ ওঠা সমস্যা এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে ফেলে রাখা যাবে না। বরং নিতে হবে যত্ন। নয়তো ভোগান্তি বাড়তে পারে।
অঞ্জনি ও চোখ ওঠা কারণ
অঞ্জনি কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ হতে পারে। তবে চোখের পাতার টিস্যুর মধ্যে থাকা কোনো তেল গ্রন্থিতে সংক্রমণ ঘটলে সেখান থেকে অঞ্জনির সৃষ্টি হতে পারে।অন্যদিকে গোলাপি চোখের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন- ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, বা অ্যালার্জেন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। এছাড়া বায়ু দূষণ, কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণেও চোখে সংক্রমণ হতে পারে।
অঞ্জনির লক্ষণ কী কী?
১)চোখের ভেতরে বা চারপাশে ব্যথা
২) চোখের পাতায় লাল পিণ্ড হওয়া
৩)ফোলা চোখের পাতা
৪)আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা
৫)চোখ দিয়ে পুঁজ বা স্রাব বের হওয়া
রক্তবর্ণ চোখ
৬)চোখে একটি তীক্ষ্ণ অনুভূতি।
চোখ ওঠার লক্ষণ
১)চোখ লাল হয়ে যাওয়া
২) ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা
৩) সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি
৪)চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা
৫) আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা
৬)সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা
৭)চোখ দিয়ে পানি পড়া
৮)চোখের কোনায় ময়লা জমা
৯)চোখ ফুলে যাওয়া।
অঞ্জনি ও চোখ ওঠার এড়াতে করণীয়
পানির ঝাপটা দিন
সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে পরিষ্কার পানির ঝাপটা দিতে হবে। চোখে কোনো ধরনের নোংরা পানি, ধুলোবালি যেন প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। চোখ আঠালো হয়ে থাকলে বার বার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অকারণে চোখে হাত দেওয়া যাবে না।
সানগ্লাস ব্যবহার করুন
আপনার চোখ আক্রান্ত হলে সেখান থেকে আরও অনেকের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে সম্ভব হলে বাড়িতে থাকুন। যদি বাইরে বের হতে হয় তবে অবশ্যই সানগ্লাস পরে বের হবেন। এটি আপনাকেও সুরক্ষিত রাখবে। রোদের কারণে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
সতর্ক থাকুন
চোখ ওঠা যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, তোয়ালে, বিছানাপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। সেইসঙ্গে বিরত থাকতে হবে হ্যান্ডশেক বা জড়িয়ে ধরা থেকেও। অপরিষ্কার হাতে চোখ স্পর্শ করবেন না।
ড্রপ ব্যবহার
ভাইরাসের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেজন্য দিনে তিন-থেকে চারবার চোখের ড্রপ ব্যভহার করতে পারেন। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য ড্রপ ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে সেজন্য ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। তবে সবটাই করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। নিজ থেকে কোনো ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার করবেন না। এতে উপকারের বদলে ক্ষতি বেশি হতে পারে।
সান নিউজ/এসআই