সান নিউজ ডেস্ক: বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিবাহ মূলত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও আধুনিক সভ্যতায় এটি একটি আইনি প্রথাও বটে।
আরও পড়ুন: স্প্রে থেকে তৈরি হলো পোশাক
বিয়ের রয়েছে অনেক উপকারিতা। সত্যিই বিয়ের পর তো আর সবাই অসুখী থাকেন না, যদিও অনেকের সঙ্গেই নানা ঘটনা ঘটতে পারে বিবাহিত জীবনে!
তবে আপনার ক্ষেত্রেও যে তেমনটি ঘটবে তা বিয়ের আগে কখনো ভাববেন না। বরং বিয়ে করলে কীভাবে আপনি লাভবান হবেন তা জেনে নিন-
আরও পড়ুন: সুন্দরীরা পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের কারণ!
১. আজীবন সঙ্গী পাবেন: বৈবাহিক বন্ধনে জড়ালে আপনি একজন আজীবন সঙ্গী পাবেন। একা থাকার চেয়ে একজন সঙ্গী থাকলে তার সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা, আবেগ, অনুভূতি, চিন্তাভাবনা ও মতামত শেয়ার করা যায়।
শুধু তাই নয়, আপনার বিজয় উদযাপন করার জন্য, কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য ও জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতেও প্রয়োজন হয় একজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর।
২. প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার পাবেন: বিয়ের মাধ্যমে আপনি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার পাবেন। প্রেমের সম্পর্কে কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকলেও বিয়েতে থাকে।
আরও পড়ুন: হেমা মালিনীর সৌন্দর্যের রহস্য!
এমন সঙ্গীর উপর আপনার আস্থা রাখতে পারবেন ও নিশ্চিত থাকতে পারবেন যে তিনি কখনো আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ করছেন না। এই বিশ্বাস টিকিয়ে রাখতে আপনিও সঙ্গীর প্রতি অনুগত থাকার চেষ্টা করুন
৩. আরও শিখতে পারবেন: বাকি জীবনটুকু যার সঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতি আপনি করছেন তার সঙ্গে বিয়ের পর এক ছাদের তলায় বসবাস করতে গিয়ে আপনি অনক কিছু শিখতে পারবেন। বিয়ের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করেন দম্পতি। শুধু একে অন্যের দোষ না ধরে বরং সঙ্গীর প্রতিভাও খুঁজে বের করেন দম্পতিরা।
আরও পড়ুন: প্রেমিক সন্দেহবাতিক হলে যা করণীয়
একে অপরের স্বপ্নকে সমর্থন করার সময় দুজনে মানিয়ে নিতে শেখেন বিবাহিতরা।
৪. যত্নশীল সঙ্গী মেলে: আপনার সঙ্গী যদি যত্নশীল হন তাহলে দেখবেন বিয়ের পর ঠিকই তার প্রেমে আপনি মজবেন। নারী-পুরুষ সবাই চায় তার সঙ্গী যেন যত্নশীল হয়! একজন যত্নশীল স্বামী/স্ত্রী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। মনে রাখবেন বিয়ে করলে আপনিও পেতে পারেন একজন সঙ্গী, যিনি আপনার প্রতি হবেন যত্নশীল।
৫. অভিভাবকত্ব গ্রহণ: বিয়ের মাধ্যমে আপনি অভিভাবকত্বও উপভোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সন্তানদের ভালো করে লালন-পালন করা খুবই জরুরি। একটি সন্তানকে আরও ভালোভাবে বড় করতে আপনাকে ও আপনার স্ত্রী উভয়কেই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে।
৬. নিরাপত্তা পাবেন: বিয়ের মাধ্যমে আপনি ব্যক্তিগত জীবনে নিরাপত্তা পেতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষই প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সঙ্গী ছেড়ে চলে যেতে পারেন ভেবে ভয় পান, সেক্ষেত্রে বিয়ে করলে আর এই ভয় থাকবে না!
আসলে ভালোবাসার সম্পর্কের শেষ পরিণতিই তো বিয়ে, এজন্য বিয়ের মাধ্যমে সবাই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেন। তাই বিয়ের পর আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় না।
৭. স্বাস্থ্য ভালো থাকে: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। বিয়ের মাধ্যমে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে তা হলো-
আরও পড়ুন: মল্লিকার ফিটনেস রহস্য
১. দীর্ঘজীবী হওয়া যায়
২. স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে
৩. হতাশার প্রবণতা কমে
৪. গুরুতর ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে, এমনকি ক্যানসার হলেও সারভাইভ বা বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
৫. মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
তবে শুধু বিবাহিত হলেই যে এসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে তা কিন্তু নয়, বিবাহিত জীবনে আপনি সুখী কি না তার উপর নির্ভর করবে আপনার সুস্বাস্থ্য।
স্ট্রেসপূর্ণ ও অসুখী বিবাহিতরা আবার একজন অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে খারাপ স্বাস্থ্যের অধিকারী হন। বিয়ের স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর বেশিরভাগই বিবাহিত নারীদের তুলনায় পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি স্পষ্ট। সূত্র: বোল্ডস্কাই/হেলথ হার্ভার্ড
সান নিউজ/এনকে