সান নিউজ ডেস্ক : আষাঢ়ের শেষ দিন আজ। কিন্তু, আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে, ভরা চৈত্র। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। বাইরে এলেই বৃষ্টির বদলে ঘামে ভিজে যাওয়ার অবস্থা! গুমোট গরমে হাঁসফাঁস করছে রাজধানীবাসী।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে আক্রান্ত ৮ লাখের বেশি মানুষ
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না নগরবাসী। প্রচণ্ড রোদ থেকে বাঁচতে রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষজনকে ছাতা মাথায় নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে, বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনো যানবাহনে চেপে বসছেন। কম-বেশি সবার হাতেই আছে পানির বোতল। মাঝে মাঝে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন অনেকে।
দিনের বেলাটা এখন বেশ গরমই থাকে। ঋতুর এই পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। অনেক মানুষ এখন সাধারণ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি বাড়ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর বলেছেন, ‘এসব অসুখের বেশিরভাগই ভাইরাসজনিত। লক্ষণভিত্তিক কিছু চিকিৎসা, এমনকি কোনো চিকিৎসা ছাড়াই এসব রোগ ভালো হয়। এজন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। তবে, শুকনো কাশি কয়েক সপ্তাহ ভোগাতে পারে। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ, এর সঙ্গে এন্টিহিস্টামিন খেতে হবে। গরম পানিতে গড়গড়া করতে হবে। গরম গরম চা বা গরম পানিতে আদা, মধু, লেবুর রস, তুলসি পাতার রস ইত্যাদি পান করলে উপকার পাওয়া যায়।’
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই গরমে একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়, যাকে বলে সিজনাল ফ্লু। এর জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। এটা কোনো মারাত্মক অসুখ নয়। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, শরীর চুলকালে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, ক্যালামিন লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করলেই হবে।’
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় শিশুসহ নিহত ২৩
তিনি বলেন, ‘এ সময়ে বাইরে যারা বের হন, তাদের বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। রোদে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে স্যালাইন খেতে হবে। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।’
সান নিউজ/এসআই