সান নিউজ ডেস্ক: ছোট্ট গোলগাল নিরীহ চেহারার ফলটির নাম লটকন। হলুদ রঙের এই টক-মিষ্টি স্বাদের ফলটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: ড্রাগন ফলের উপকারিতা
যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। তবে যে নামেই ডাকা হোক, ছোট্ট এই ফলটি কিন্তু বেশ উপকারী। এখন চলছে লটকনের মৌসুম। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লটকন রাখতে পারেন।
লটকন ফলের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। জেনে নিই সেই সম্পর্কে-
লটকনের গুণের কথা আজ অজানা নয়। লটকন একটি পুষ্টিকর ফল। এতে ভিটামিন ও খাদ্যশক্তিসহ নানারকম খনিজ উপাদান রয়েছে। লটকনে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় সহায়তা করে। শরীরকে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রুচি বাড়াতে লটকন বেশ উপকারী। লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দুই থেকে তিনটি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হয়। ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। লটকনে যে আয়রন রয়েছে তা রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী।
খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। দেহ সক্রিয় রাখতে ও দৈনন্দিন কাজ করতে খাদ্যশক্তি প্রয়োজন হয়। আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় লটকনের খাদ্যশক্তি প্রায় দ্বিগুণ।
লটকন গা গোলানো ও বমি বমিভাব দূর করতে পারে। পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও গরমে তৃষ্ণা মিটাতে লটকন খাওয়া যায়। কারণ এতে জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি।
লটকনের ঔষধি গুণও রয়েছে। এর পাতা ও শিকড় খেলে পেটের নানারকমের অসুখ ও জ্বর ভালো হয়ে যায়। এর বীজ গনোরিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ডায়ারিয়া দূর করতে লটকনের পাতার গুঁড়া বেশ ভালো ফল দেয়।
লটকন বেশি খেলে অনেক সময় ক্ষুধা মন্দাও দেখা দিতে পারে।
লটকন একসময় অপ্রচলিত ফলের তালিকায় ছিল। এখন উন্নত জাতের সুমিষ্ট এই ফলের জনপ্রিয়তা বেশ বেড়েছে। ফলটি বাণিজ্যিকভাবেও চাষাবাদ করা হচ্ছে। বেশ লাভবানও হচ্ছে চাষীরা। ফলটির ফলন হয়ে থাকে প্রচুর। গাছের নীচ থেকে ছোট কাণ্ড পর্যন্ত ধোকায় ধোকায় ফল ধরে। বাংলাদেশ থেকে লটকন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।
সান নিউজ/এনকে