সান নিউজ ডেস্ক: গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে সঠিক খাবার গ্রহণ করা ভীষণ জরুরি। গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মায়ের দেহে, ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অতিরিক্ত পুষ্টি প্রয়োজন এবং এগুলোর অভাব অনেক সমস্যা ডেকে আনে। মা এবং শিশু উভয়েরই সুস্বাস্থ্যের জন্য গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ
গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় যেসব খাবার রাখা উচিত তা হলো-
১। ফল ও শাকসবজি
দিনে ৫ বার ফল ও ৭ বার সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলের চেয়ে শাকসবজি বেশি খান। জুস ও স্মুদি ও পান করতে পারেন। তবে এগুলোর সুগার ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি করতে পারে এবং দাঁতেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই এগুলো সীমিত পরিমাণে পান করাই ভালো। তাজা ফল ও সবজি খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।
২। স্টার্চ জাতীয় খাবার
আলু, লাল চালের ভাত, রুটি, পাস্তা ইত্যাদি স্টার্চ জাতীয় খাবার আপনার প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় রাখুন। শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে এনার্জি প্রদানে সাহায্য করে।
৩। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
চর্বিহীন মাংস, মুরগী, মাছ, ডিম, ডাল (মটরশুঁটি, মসূর ডাল) ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। সপ্তাহে ২ দিন বা তারচেয়েও বেশি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। সারডিন, স্যামন এর মত তৈলাক্ত মাছ বা সামুদ্রিক মাছ সপ্তাহে ১ দিন খেতে পারেন। আমিষ জাতীয় খাবার গর্ভের শিশুর শরীরের নতুন টিস্যু গঠনের জন্য সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর নির্দেশে বরখাস্ত সমীচীন হয়নি
৪। দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, পনির, দই ইত্যাদি খাবারগুলো ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। এগুলোর চিনি ও ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম থাকে সেটি খেয়াল করতে হবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে।
অনেক মানুষের শরীরেই আয়োডিনের ঘাটতি থাকে। আয়োডিন এমন একটি খনিজ উপাদান যা শিশুর মস্তিষ্কের গঠনের জন্য অপরিহার্য। দুগ্ধজাত খাবার ও সামুদ্রিক খাবার আয়োডিনের চমৎকার উৎস।
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর অনেক বেশি কাজ করে। তবে সাধারণত প্রথম ৬ মাসে বাড়তি ক্যালোরির প্রয়োজন হয়না। সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে যখনই ক্ষুধাবোধ হবে তখনই খাবেন।
সাননিউজ/এমআরএস