সান নিউজ ডেস্ক : আজ দিবাগত রাতে সেহেরি খাওয়ার মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাসের যাত্রা। তাই সেহেরিতে একটু সময় নিয়ে পরিমিত পরিমাণে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ অথবা মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া দুধ-কলা-ভাত অথবা আম-দুধ-ভাত খাওয়া যায়। ভাত, সবজি ও মাছ খাওয়ার পর এক কাপ দুধ ও খেজুর খেলে সারা দিন সুন্দরভাবে রোজা রাখা যায়।
আরও পড়ুন: টিপু হত্যার নির্দেশনা দেন ডন মুসা
পানি পান করুন
গরমকালে পানিশূণ্যতা রোধে অবশ্যই সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে রোজার সময় শরীরে সারাদিন পানির চাহিদা পূরণ করতে অন্তত ২ লিটার বা ৬০ আউন্স পানি পান করতে হবে। সেহরিতে অবশ্যই কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করতে হবে। একসঙ্গে বেশি পানি পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ও হালকা খাবার খান
সেহরিতে অবশ্যই হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যদি মনে করে থাকেন, বেশি করে খাবার খেলে সারাদিন ক্ষুধা লাগবে না, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। এমন খাবার খান যাতে অনেক বেশি ফাইবার আছে। ফাইবারসম্মৃদ্ধ খাবার আপনাকে সারাদিন শক্তি যোগাবে।
সেহরিতে অবশ্যই খেজুর খান
শরীরকে সুস্থ্য রাখতে রোজার সময় খেজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কপার, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এছাড়া এতে অনেক বেশি গ্লুকোজ থাকে যা শরীরে সারাদিন শক্তি যোগায়।
পর্যাপ্ত ঘুম
শারীরিক সুস্থ্যতার অনেকটাই নির্ভর করে পর্যাপ্ত ঘুমের ওপর। রোজার সময়েও শরীরকে সুস্থ্য রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠে যেতে হবে। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি যতই ক্লান্ত থাকেন না কেন, অবশ্যই ফযরের ৪০ থেকে ৫০ মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠে পড়ুন এবং সময় নিয়ে সেহরি করুন। এরপর সকাল হওয়া উপভোগ করুন।
আরও পড়ুন: আমাকে খুন করা হতে পারে
অবশ্যই দই খান
সেহরির পর দই খাওয়া খুবই উপকারি। এটি এসিডিটি, এমনকি পানিশূণ্যতা রোধেও অনেক ভালো কাজ করে।
আপেল ও কলা
সঠিক পুষ্টি পেতে প্রতিদিনের খাবারে আপেল ও কলা রাখা খুব জরুরি। দুটি ফলই কম ক্যালরিসম্পন্ন। এগুলোতে অনেক বেশি ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
লবন, ঝাল ও চিনিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন
বেশি ঝাল, চিনি ও লবনজাতীয় খাবার আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলবে। লবন, মরিচ ও চিনি’র সোডিয়াম শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে বেশি ঝাল, চিনি ও লবনজাতীয় খাবার খেলে শরীরের কোষ থেকে পানি বের হয়ে যায়। যার ফলে আপনি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে মৃত্যুর ২ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
পানিজাতীয় খাবার খান
অনেক বেশি পানি আছে, যেমন শসা-টমেটোর সালাদ, রসালো ফল যেমন তরমুজ, কমলা ইত্যাদি খাবার সেহরিতে যোগ করতে পারেন। এসব খাবার সারাদিন আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করবে।
সেহরির এসব টিপস আপনার রোজাকে সহজ করতে ও নিজেকে সুস্থ্য রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এসব খাবার আপনাকে সারাদিন পানিশূণ্যতা রোধেই সাহায্য করবে না, বরং এগুলো আপনাকে ক্ষুধাজনিত বিভিন্ন রোগ থেকেও দূরে রাখবে।
সাননিউজ/এমআরএস