সান নিউজ ডেস্ক: ব্যস্তময় এ জীবনে আমাদের নিজেদের জন্য সময় নেই বললেই চলে! তবে ব্যস্ততা যত-ই থাকুক, তার মাঝেই নিজের যত্ন নেয়া আবশ্যক। আর তা যদি হয় ত্বকের ক্ষেত্রে, পরিচর্চার বিষয়ে তাহলে নজর দেয়া আবশ্যক। প্রতিদিনের ধুলাবালি আমাদের ত্বকে যেমন ব্রণ সৃষ্টি করে, তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা হ্রাসেও ভূমিকা রাখে। তার পাশাপাশি রোদে পোড়া দাগসহ নানা সমস্যা তো আছেই।
আরও পড়ুন: উন্নয়নে ‘ব্লু ইকোনমি’ ব্যবহার হচ্ছে
শরীর, ত্বক, চুল ভালো থাকলে মন খারাপের পাল্লাও যে হালকা থাকবে। শুরু করা যাক ত্বক নিয়েই। প্রতিদিন কী করবেন, কী করবেন না—সেটা জানা থাকা জরুরি এই সময়। তার সঙ্গে ঘরোয়া প্যাক ভালো রাখবে ত্বক। ত্বকের যত্নের খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরা হলো:
অ্যান্টি-ট্যান ফেস মাস্কের উপকারিতা হচ্ছে এটি ত্বকের ট্যান ফেইড করে, তাছাড়া মুখের কালো দাগ, ব্লেমিশেস দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত করে তুলে।
আমাদের হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন কিছু উপাদান দিয়েই তৈরি করা যাবে এই অ্যান্টি- ট্যান ফেস মাস্ক। আমি আজ এ ধরনের তিনটি ফেস মাস্কের বিবরণ দিব। আপনার পছন্দনুযায়ী এই তিনটি থেকে যে কোনো একটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেনো, খুব তাড়াতাড়ি ফল লাভের আশা করবেন না। পোড়া ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া সময় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার।
ফেস মাস্ক-১
যা যা লাগবে:
বেসন
অ্যালোভেরা জেল
টক দই
একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ বেসন নিন। তাতে দেড় টেবিল চামচ সমপরিমাণ টক দই মেশান। কোনো ফ্লেভারড দই মেশাবেন না। এর সাথে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশান। এবার সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট করুন। পেস্টটি মুখে, হাতে এবং পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা ভাবে ঘষে তুলে ফেলুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এই মাস্কটি সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:সাঙ্গুর তীরে মিলল গুলিবিদ্ধ চার লাশ
ফেস মাস্ক-২
যা যা লাগবে:
শশার রস
লেবুর রস
গোলাপ জল
একটি বাটিতে এক টেবিল চামচ শশার রস নিন। এতে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। শেষে মেশান এক টেবিল চামচ গোলাপ জল। এই মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একাধিকবার ব্যবহার করুন।
ফেস মাস-৩
যা যা লাগবে:
পাকা টমেটো
প্লেইন ইয়োগার্ট
লেবুর রস
আরও পড়ুন:ফের হাসপাতালে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত
একটি টমেটো কুঁচি করে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিন। এর সাথে দিন এক টেবিল চামচ প্লেইন ইয়োগার্ট এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস। তারপর ব্লেন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। অন্য ফেস মাস্কের মতই ফল পেতে এটিও নিয়মিত ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করতে পারেন। আশানুরূপ ফল পেতে ধৈর্য্য সহকারে দীর্ঘদিন ব্যবহার করুন।
সব কথার মূল কথা হচ্ছে সমস্যা হওয়ার আগে তা প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। তাই রোদ থেকে যতটা সম্ভব বেঁচে থাকুন, বিশেষ করে মধ্য দুপুরের রোদ থেকে। তাছাড়া ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যেটাতে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর মানে SPF30 অথবা এর বেশি । এর সাথে সাথে লম্বা হাতার জামা, সানগ্লাস এবং হ্যাট পড়তে পারেন। চাইলে ব্যাগে সবসময় ছোটো একটি ছাতাও রাখতে পারেন।
সাননিউজ/এমআরএস