সান নিউজ ডেস্ক: ছুটির দিনের বিকেল মানেই আড্ডা। আর আড্ডা মানেই হরেকরকম নাস্তা। নাস্তায় চায়ের সাথে একটু ঝাল না হলে কি জমে? তাই ধোয়াওঠা এক কাপ চায়ের সঙ্গে মুখরোচক কিছু না হলে যেন চলে না।
এই নাস্তা টি আপনারা স্বল্প উপকরণ দিয়ে ঘরে বসে তৈরি করতে পারেন। এ নাস্তা তৈরি করার জন্য তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। খুব সহজে অল্প সময়ে তুলতুলে এই নাস্তা তৈরি করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই এর আজকের রেসিপি আয়োজনে রইলো বিকেলের নাস্তায় মুখরোচক কিছু খাবারের রেসিপি-
ময়দা দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি দিয়ে আপনারা বিকেলে নাস্তা হিসেবে তৈরি করতে পারেন । এমনকি বাচ্চাদের টিফিনে এই নাস্তাটা দিতে পারেন। এই নাস্তা টি আপনারা স্বল্প উপকরণ দিয়ে ঘরে বসে তৈরি করতে পারেন। এ নাস্তা তৈরি করার জন্য তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। খুব সহজে অল্প সময়ে তুলতুলে এই নাস্তা তৈরি করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই এর রেসিপি –
ময়দা দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি এর উপকরণ
ভিতরের পুরের জন্য যা যা লাগবে-
হাড়ছাড়া মুরগির মাংসেরর কিমা- ১ কাপ
পেঁয়াজকুচি – ২ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি – স্বাদমতো
লবণ – স্বাদমতো
চাট মসলা -১ টেবিল চামচ
আদা বাটা -১ চামচ রসুন বাটা -১ চামচ
ধনিয়াপাতা কুচি -১ টেবিল চামচ
তেল – পরিমানমতো (ভাজার জন্য)
ডো তৈরীর জন্য যা যা লাগবে –
ময়দা -১ কাপ
কুসুম গরম পানি -১ ১/২ কাপ
ইস্ট পাউডার -১ টেবিল চামচ
লবণ – স্বাদমতো
তেল -২ টেবিল চামচ
নাস্তা প্রণালী
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি বাটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে ইস্ট পাউডার ও স্বাদমতো লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। এখন এই মিশানো পানিটাকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে 10 মিনিটের জন্য।
তারপর একটি বাটিতে ময়দা ও তেল দিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশানো হয়ে গেলে তৈরি করে রাখা ইস্ট পাউডার এর মিশ্রণ এই ময়দার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন ময়দা ও এ মিশ্রণ থেকে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। মেখে নিয়ে একটি সফট ডো তৈরি করতে হবে। এ পর্যায়ে মাখার সময় হাতে লেগে আসতে পারে । কিন্তু কিছুক্ষণ মাখার পর আর হাতে লেগে আসবে না। তারপরে এই ডোটিকে ওপরে তেল মেখে নিয়ে এক ঘন্টার জন্য কোন গরম জায়গায় রেখে দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন পুর তৈরি করে নিতে হবে। পুর তৈরি করার জন্য প্রথমে চুলায় একটি কড়াইতে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে বসিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে পেঁয়াজ কুচি ও মুরগির মাংসের কিমা দিয়ে দিতে হবে। যখন পেঁয়াজ একটু নরম হয়ে আসবে তখন স্বাদমতো লবণ, কাঁচামরিচ কুচি, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে।
এখন কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে মাংসটাকে সিদ্ধ করে নিতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে যখন পানি শুকিয়ে আসবে তখন চাট মসলা ও ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে ওটাকে নামিয়ে নিতে হবে। এখন এই পুরটাকে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ।
চতুর্থ ধাপ
তারপর এক ঘন্টা পর দেখা যাবে যে দুটো ফুলে ডাবল হয়ে গেছে। এখন এই ডো থেকে বাতাস বের করে নিয়ে এই ডোটাকে আর একটু মেখে নিতে হবে। তারপর এই ডোটাকে ছোট ছোট করে লেচি কেটে নিতে হবে।
এখন একটি লেচি নিয়ে প্রথমে ছোট বল আকারে তৈরি করে নিতে হবে। এখন এই বলে ভিতরে তৈরি করে রাখা পুর দিয়ে মুখটাকে বন্ধ করে দিতে হবে। এমন করে প্রত্যেকটি লেচি দিয়ে এরকম ছোট ছোট করে পুর দিয়ে বলের মতো করে তৈরি করে নিতে হবে। তারপরে বলগুলোকে একটি সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে 10 মিনিটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
10 মিনিট পর চুলা একটি ছড়ানো কড়াইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন তেল অতিরিক্ত গরম না হয়। যখন তেল হালকা গরম হয়ে আসবে তখন তৈরি করে রাখা বল গুলো দুই থেকে তিনটি ছেড়ে দিতে হবে।
এই সময় ও খেয়াল রাখতে হবে যে তেলের মধ্যে অতিরিক্ত বল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণ যদি বেশি ছেড়ে দেওয়া হয় তখন এগুলো পর্যাপ্ত আকারে ফুলে পড়তে পারবে না। এখন যখন একটু ফুলে একপাশ হালকা গোল্ডেন কালার হয়ে আসবে তখন উল্টে অন্যপাশ দিতে হবে।
এমন করে দুই দিকে হালকা গোল্ডেন কালার কালার করে ভেজে নিতে হবে। এখন এই ভেজে নেওয়া বলগুলো একটি কিচেন টিস্যুর ওপর নিয়ে নিতে হবে। যেন এক্সট্রা তেল গুলো চলে যায়। এখন যে কোন ধরনের সসের সাথে পরিবেশন করলেই হয়ে যাবে ভিন্ন ধরনের একটি নাস্তা ।
সাননিউজ/এমআরএস