লাইফস্টাইল ডেস্ক: সময়ের অভাব বা বিভিন্ন কারণে ডায়েট করা হচ্ছে না। তাহলে কি মোটাই থেকে যেতে হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর হলো, একদম না। ব্যায়াম ছাড়াও ওজন কমানো সম্ভব। শরীরে বাড়তি মেদ যে কারও জন্য ক্ষতিকর। ওজন কমানোর জন্য আমরা নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। ব্যায়াম ছাড়াও খাদ্যাভাসে কিছুটা পরিবর্তন আনলেও ওজন কমানো যায়।
১. ওজন কমাতে হলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
২. দুধযুক্ত খাবার যেমন— পনির, মাখন খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এগুলো উচ্চ চর্বিযুক্ত। মাংস ও আমিষজাতীয় খাবারও নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।
৩. বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলার অন্যতম উপাদান হচ্ছে— তাজা ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি। তাই যাদের ওজন বেশি, তাদের বেশি করে এগুলো খাওয়া উচিত।
৪. উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন— চাল, আলু নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে হবে, গম (আটা) খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৫. অতিরিক্ত স্বাদযুক্ত সবজি ও করলা ওজন কমানোর জন্য কার্যকর।
৬. মসলাজাতীয় খাবার, যেমন— আদা, দারুচিনি, কালো মরিচ এগুলো প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে। মসলাজাতীয় খাবার হলো ওজন কমানোর কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
৭. মধু দেহের অতিরিক্ত জমানো চর্বিকে রক্ত চলাচলে পাঠিয়ে শক্তি উৎপাদন করে, যা ব্যবহৃত হয় দেহের স্বাভাবিক কার্যকলাপে। মধু খাওয়া প্রথমে শুরু করতে পারেন অল্প পরিমাণে, যেমন— এক চামচ বা ১০০ গ্রাম, যা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন।
এ ধরনের চিকিৎসায় এক চামচ টাটকা মধুর সঙ্গে আধা চামচ কাঁচা লেবুর রস আধা গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার খেতে হবে।
সান নিউজ/এনএএম