সাননিউজ ডেস্ক ডায়াবেটিস এমন এক ভয়াবহ রোগ এক বার ডায়াবেটিসের শিকার হলে তা নাকি কখনও সারানো যায় না। যার ফলে শরীরে অগ্ন্যাশয় যথার্থ ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না এবং শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হয়।
এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, অধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বার বার মুখ শুকিয়ে যায়। আক্রান্তরা অতিশয় দুর্বলতা, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানান সমস্যায় ভোগে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাবার তালিকায় যদি আপনি কিছু খাবার রাখেন তবে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব খাবার।
টমেটো
টমেটোতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘এ’ এবং লাইকোপেন। ডায়াবেটিসের কারণে হার্টের অসুখ রোধ করে এই উপাদানগুলি। তাছাড়া লো-কার্ব ও ক্যালোরি কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ফলে প্রতি দিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টমেটো।
বিট
শুধুমাত্র শীতকালেই নয়, সবজির বাজারে হাত বাড়ালেই পাবেন বিট।বিটে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার থাকায় তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া এতে রয়েছে ন্যাচারাল সুগার যা অতি দ্রুত গ্লুকোজে পরিণত হয় না।
কুমড়া বীজ
অনেকেই কুমড়া থেকে তার বীজ ফেলে দেন। একে অতটা হেলাফেলা করবেন না। ফ্যাটি অ্যান্ড সুগারি ফুড খাওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে কুমড়া বীজ। এতে আইরন এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা পেট ভরা রাখে।
আখরোট, চিনেবাদাম
ডায়াবেটিস হলে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন আখরোট, চিনেবাদাম বা আমন্ডের মতো মিক্সড নাটস। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া এতে রয়েছে এসেনশিয়াল অয়েল যা ডায়াবেটিস ইনফ্ল্যামেশন, ব্লাড সুগার এবং ব্যাড কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সারা দিনের কাজের ফাঁকে স্ন্যাক্স হিসাবে অবশ্যই রাখুন মিক্সড নাট।
জাম
ডায়াবেটিস জন্য আদর্শ সুপারফু়ড হল জাম। নিয়মিত জাম খেলে হজমশক্তির পাশাপাশি ইনসুলিনের অ্যাক্টিভিটিও বাড়িয়ে দেয়। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, জামের বীজ গুঁড়ো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
হলুদ
আয়ুর্বেদের মতে, হলুদ হল ডায়াবেটিসের জন্য একেবারে সঠিক সুপারফু়ড। কী ভাবে খাবেন হলুদ? প্রতি রাতে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খান। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তো বটেই, দেহে ইনসুলিনের মাত্রার ভারসাম্যও বজায়
ফাইবারযুক্ত খাবার
যেসকল ফল, সবজিতে প্রচুর আঁশ আছে সেসকল ফসল অনেকটাই শর্করার অভাব মিটিয়ে দিতে পারে। বাদাম, মটরদানা, বা সিম-জাতীয় খাবার, ভুট্টাতে প্রচুর ফাইবার থাকে। তাছাড়া বাঙ্গি, তরমুজ জাতীয় ফলগুলোও এক্ষেত্রে উপকারী হয়। আঁশ জাতীয় খাবার পেটে অনেকক্ষণ থাকে এবং পরিপাকতন্ত্রও সুস্থ রাখে। এমনকি মিষ্টি আলু রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই মিষ্টি আলু খেলে পেট ও ভরবে, এবং ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
সাননিউজ/এএএ