সান নিউজ ডেস্ক: আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাদের রাতে ঘুমের ওষুধ না খেলে ঘুমই হয় না। তাই তারা নিয়ম করে প্রতি রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন।
দেখা যায়, প্রথম দিকে যে ওষুধ সহজে ঘুম পাড়িয়ে দেয়, কয়েক মাস কিংবা বছর পরে সেটিই আর ঠিকভাবে ঘুম পাড়াতে কোন কাজ করে না।
তখন ঘুমানোর জন্য আরও চড়া মাত্রার ঘুমের ওষুধের দরকার হয়। চিকিৎসকও ঘুমের অসুধের মাত্রা বাড়িয়ে দেন কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, রোজ এভাবে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে কী হয়?
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ঘুমের ওষুধ আমাদের যেসব মারাত্মক ক্ষতি করে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত:-১. যারা নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খান, তাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে এই ওষুধের প্রভাব পড়ে। ফলে আচরণ বদলে যেতে পারে। এমনকি কমে যেতে পারে সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধিও।
২. নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে সার্বিকভাবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন সহজেই বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় বলে সহজেই নানা রোগে আক্রান্ত হই।
৩. তাছাড়া নিয়মিত ঘুমের অসুধ সেবনের ফলে মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার হরমোনগুলির ক্ষরণও বাড়ে। তাতে ক্যান্সারের মতো অসুখের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
৪. রোজ ঘুমের ওষুধ খেলে ফুসফুসের ক্ষমতা কমতে থাকে। তখন অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা বা বেশি হাঁটাহাঁটি করতে গেলেই চাপিয়ে উঠি ফলে দেহে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে কমতে থাকে ফুসফুসের ক্ষমতা।
৫. নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে মানসিক অবসাদের সমস্যাও বাড়তে পারে। যাদের ইতিমধ্যেই এই সমস্যা রয়েছে, তারা যদি রোজ ঘুমের ওষুধ খান, তাহলে সেই সব হরমোনের ক্ষরণ দ্রুত বেড়ে যায়, যেগুলি অবসাদের জন্য খুবই দায়ী।
৬. সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, রোজ ঘুমের ওষুধ খেলে আমাদের আয়ু কমে যেতে পারে।
কারণ প্রতিনিয়ত ঘুমের অসুধ সেবন সার্বিক ভাবে গোটা শরীরের উপরেই নিরবে এই ওষুধের প্রচুর প্রভাব পড়ে। তাতে সব অঙ্গেরই অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়। ফলে দেহের আয়ু কমতে থাকে। সুত্র: তক্ষশীলা
সান নিউজ/এনকে