মুসাররাত আবির
নিজের বন্ধুদের দিকেই তাকান। একেকজনের স্বভাব একেকরকম। সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তিত্বের হয়েও একজন আরেকজনের কাঁধে হাত রেখে চলার নাম বন্ধুত্ব। আজ বন্ধু দিবসে নিজের কোন বন্ধুকে কোন কাতারে ফেলা যায় সেটাই দেখে নিন এবার।
সদা যত্নশীল
বন্ধুদের দলে এমন একজন সবসময়ই থাকে, যে বাকিদের একেবারে অভিভাবকের মতো আগলে রাখে। শারীরিক-মানসিক যাবতীয় খেয়াল রাখার পাশাপাশি বিপদে এগিয়েও আসে সবার আগে। এমন বন্ধুর কথা চোখ বুঁজে বিশ্বাস করা যায় ও এদের পরামর্শও নেওয়া যায় নির্দ্বিধায়।
ফূর্তিতে অটুট
এই ধরনের বন্ধুকে দেখলে মনে হয় তার জীবনে বুঝি কোনও ঝামেলাই নেই! তারা জানে কীভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হয়। নিজের যাবতীয় ঝুট-ঝামেলাকে পকেটে ভরে এরা বন্ধুদের মাতিয়ে রাখতেই সদা সচেষ্ট। অবশ্য এমন বন্ধুরাই কিন্তু বাবা-মায়ের ব্ল্যাক লিস্টের শীর্ষে থাকে! চেষ্টা করুন, এ টাইপের বন্ধুদের সমস্যাগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করার।
আচমকা গায়েব
একটু আগেই দেখলেন পাশে বসে আছে, কিছুক্ষণ পরই হাওয়া! ফোনে একটু পর টুং করে বেজে উঠলো নোটিফিকেশন। বন্ধু লিখেছেন, ‘সরি দোস্ত, জরুরি কাজ পড়ে গেছে।’ এ ধরনের বন্ধুরা স্যোশাল মিডিয়াতেও তেমন একটা সরব থাকে না।
নিজে থেকেও আপনার খুব একটা খোঁজ নেবে না। তবে এটাকে পুরোপুরি দোষ দেওয়া যায় না, এমনটা ঘটে বন্ধুর অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণেই। এমন বন্ধু আবার মাঝে মাঝে আপনার উপকারে কাজ করে যাবে নিস্বার্থভাবেই।
ছিঁচকাদুনে
এরা অতি আবেগী। কথাবার্তা বলতে হয় মেপেমেপে। এই অনুতপ্ত, আবার পরক্ষণেই মুখ গোমড়া। এদেরকে মাঝে মাঝে ক্ষ্যাপানোর মধ্যেও আছে মজা!
খাওয়া এবং খাওয়া
এই প্রকার বন্ধুদের মাথাতেও একটা পাকস্থলী থাকে। দেখা হলে সবার আগে খাওয়ার প্রসঙ্গটাই নিয়ে আসবে ইনিয়ে বিনিয়ে। আপনি যদি বলেন-‘দোস্ত ভাল্লাগছে না।’ সে একগাল হেসে বলবে ‘কাচ্চি খেলে মন ভালো থাকে।’ তবে এদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন, কোন খাবারের জন্য কোন রেস্তোরাঁ বা কোন পেজটা বিখ্যাত।
সুপারহিরো
পরীক্ষার সাজেশন হোক, কিংবা বাবা-মায়ের কাছ থেকে বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি- সব সমস্যার সমাধানে সিদ্ধহস্ত টাইপের বন্ধু এরা। প্রতিটি বিপদের জন্য একাধিক সমাধান মাথায় গিজ গিজ করে তাদের। বাসায় ঢোকার চাবি হারিয়ে গেলেও তাই এ ধরনের বন্ধুর কথা মাথায় আসবে সবার আগে।
সবসময় লেট
আপনি যতই দেরি করে কোনও গেট টুগেদারে হাজির হন না কেন, একজন আসবে আপনারও পরে (হতে পারে সেটা আপনি!) অবশ্য এ কারণে ওই বন্ধুর মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা দেখবেন না। শত হলেও বন্ধুই তো। বড় করে হাই তুলতে তুলতে হয়তো বলবে, এই একটু লেট হয়ে গেলো।
পকেট ফাঁকা যার
এই বন্ধুর পকেট সবসময় গড়ের মাঠের মতো ফাঁকা থাকে। যথারীতি বাকি বন্ধুদের পকেটগুলোকে তার কাছে ক্রেডিট কার্ডের মতো মনে হয়। তবে এ ধরনের বন্ধু আবার আপনার বিপদে নিজের সবটুকু দিয়ে ঝাঁপিয়েও পড়বে।
অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার
ট্যুরে আর কেউ যাক বা না যাক, ওই বন্ধুটা যাচ্ছে কিনা তার খোঁজ সবাই নেবে। এর সঙ্গে ওর, ওর পেছনে তাকে আর সবার সঙ্গে সবার ছবি তুলতে যার একটু ক্লান্তি নেই। এমন বন্ধু থাকলে আর নিজের ফোনের মেগাপিক্সেল নিয়েও ভাবতে হবে না।
সাননিউজ/এএসএম